দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনায় ৫৬১ জনের মৃত্যু বাবদ এ পর্যন্ত ২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে বলে জানাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এলআইসি। পাশাপাশি, লকডাউনের কারণে প্রিমিয়াম জমি দেওয়ার সময়সীমাতেও শৈথিল্য এনেছে সংস্থা। সবমিলিয়ে খানিক ক্ষতির মুখেই দাঁড়িয়ে এলআইসি।
করোনা নিয়ে দেশজুড়ে সমস্যা শুরুর পর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে যাঁদের প্রিমিয়াম বাকি ছিল, সেই গ্রাহকদের টাকা জমা দেওয়ার জন্য এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছিল এলআইসি। আবার লকডাউন চলাকালীন মার্চ এবং এপ্রিল মাসে যে সমস্ত প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার কথা ছিল, সেগুলি জমা দেওয়ার জন্য এক মাস বাড়িয়ে মে পর্যন্ত সময় দিয়েছিল সংস্থা।
এলআইসির ওয়েবসাইটে ডিজিটাল পেমেন্ট অপশনে গিয়ে প্রিমিয়াম জমা দিতে পারবেন গ্রাহকরা। এর জন্য আলাদা কোনও সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না গ্রাহককে। নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করারও কোনও ব্যাপার নেই। নাম, ঠিকানা, পলিসি নম্বরের মতো সাধারণ তথ্য দিলেই সরাসরি প্রিমিয়াম জমা দেওয়া যাবে। নেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, পেটিএম, ফোন পে, গুগল পে, বিএইচআইএম বা ইউপিআইয়ের মাধ্যমেও জমা দেওয়া যাবে প্রিমিয়াম।
লকডাউনে খোলা রয়েছে ব্যাঙ্ক। তাই এলআইসির তরফে বলা হয়েছে, যে গ্রাহকরা ডিজিটাল পেমেন্ট করতে পারবেন না তাঁরা অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক বা আইডিবিআই ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় নগদ টাকা জমা দিতে পারবেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে টাকা পাওয়ার জন্য কোনও সময় নষ্ট করতে হবে না বলে আগেই জানিয়েছিল এলআইসি। ইতিমধ্যেই সরকারি তথ্য দেখে সেই কাজ এলআইসি আধিকারিকরা করছেন বলেও দাবি করা হয়েছে বিমা সংস্থাটির তরফে। এলআইসি আরও জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে যদি কোনও গ্রাহকের পলিসি ম্যাচিউর হওয়ার বিষয় থাকে তাহলে নির্ধারিত দিনেই নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে।
এই মৃত্যু এবং ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ঘটনা সংখ্যায় এখনও পর্যন্ত ৫৬১ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি তাদের। যাঁদের পুরনো পলিসি ছিল এবং যাঁরা এই সময়ে নতুন পলিসি করছেন, সকলেই এই বিমার সুযোগ পাচ্ছে। এলআইসি-র তরফে জানানো হয়েছে, সরকারের দেওয়া নামের তালিকা মিলিয়ে করোনায় মৃতদের প্রাপ্য অর্থ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ এখনও পর্যন্ত ২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে এই খাতে।