দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে মুম্বইয়ে তাজ হোটেল। সোমবার গভীর রাতে এমনই হুমকি ফোন পেয়েছেন তাজ হোটেলের এক আধিকারিক। শুধু তাই নয়, বান্দ্রার তাজ ল্যান্ডস এন্ড উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ফোনও এসেছে একইদিনে। জানা গিয়েছে, হুমকি ফোন এসেছে পাকিস্তান থেকে। ফোনে যে হুমকি দিয়েছে নিজেকে লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে দাবি করেছে সে। হুমকি দিয়ে ফোনে বলা হয়েছে ২০০৮ সালের পুনরাবৃত্তি হবে বাণিজ্যনগরীতে। লস্করের জঙ্গিরা হামলা চালাবে তাজ কোলাবা এবং তাজ ল্যান্ডস এন্ড, এই দুই পাঁচতারা হোটেলে।
যদিও করোনাভাইরাসের জেরে এখন বন্ধ রয়েছে দুটি হোটেল। তবে হুমকি ফোনের কথা জানার পরেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। দুই পাঁচতারাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। শুরু হয়েছে তদন্ত। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রথম ফোন আসে তাজ মহল প্যালেসে। এর খানিকক্ষণ পর দ্বিতীয় ফোন যায় তাজ ল্যান্ডস এন্ড হোটেলে। দু’জায়গাতেই যাঁরা ফোন ধরেছিলেন তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকেই দুই হোটেলে ফোন এসেছিল এবং একই নম্বর থেকে ফোন আসে।
কে বা কারা এই হুমকি ফোনের সঙ্গে যুক্ত তা জানতে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মুম্বই পুলিশের সাইবার সেল এবং টেলিকম বিভাগ একযোগে তদন্ত শুরু করেছে। পাকিস্তানের কোন জায়গা থেকে এই হুমকি ফোন এসেছে আপাতত সেটাই খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক জঙ্গি হামলা হয়েছিল ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। প্রায় বারো বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তাজা রয়েছে ২৬/১১-র রক্তাক্ত স্মৃতি। লস্কর-ই-তৈবার নিশানায় ছিল মুম্বইয়ের তাজ হোটেল। এছাড়াও নরিম্যান হাউস, লিওপোল্ড ক্যাফে, ওবেরয় গ্র্যান্ড ও আরও অনেক জায়গায় হামলা চালিয়েছিল লস্করের ১০ জঙ্গির একটি দল। মারা যান ১৬৬ জন। গুরুতর আহত হন প্রায় ৩০০ জন।
সদ্যই গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে দিল্লি, বিহার এবং জম্মু-কাশ্মীরে হামলার ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা। এই তিন রাজ্যে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে চলছে নজরদারি। এমনকি উপত্যকায় পাকিস্তান জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং। গোয়েন্দা সূত্রে খবর উপত্যকার কিছু অংশে সক্রিয়ও হয়েছে জঙ্গিরা। এইসবের মধ্যে এ বার হুমকি ফোন এল মুম্বইয়ের দুটি পাঁচতারা হোটেলে।