দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বড় ও মোটা গাছ লাগাবেন না। নিমগাছের মতো গাছ লাগাতে হবে। নিমগাছ কিন্তু আমপান ঝড়ে পড়েনি। বট, আম, জাম— সব নষ্ট হয়ে গেছে। শুক্রবার কলকাতার হরিশ পার্কে কলকাতা পুরসভার ‘রি–গ্রিনিং কলকাতা’র সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিপর্যয়ের পর সবুজের সৃষ্টিতে শহর সাজুক। আমপানে বড় গাছ নষ্ট হয়েছে।’ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মমতা হরিশ পার্কের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর কর্মসূচির সূচনা করেন। ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি, দেবাশিস কুমার, মুখ্য সচিব রাজীব সিন্হা–সহ বিশিষ্টজনেরা।
মমতা বলেন, ‘১৪ জুলাই সারা বাংলায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি গাছ লাগানো হবে। কলকাতায় গাছ লাগাতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে। কলকাতা পুরসভা গাছ লাগাবে। রাজ্য সরকারও কলকাতায় ৫০ হাজার গাছ লাগাবে। পাড়ায় পাড়ায় গাছ লাগানো হবে। আমপানে কলকাতায় প্রায় ১০ হাজার গাছ নষ্ট হয়েছে। এদিন গাছ লাগানোর সূচনা হল।
কাজ কিন্তু শেষ করতে হবে। সারা বাংলায় কত গাছ নষ্ট হয়েছে, এখনও হিসেব পাওয়া যায়নি। সুন্দরবন আমাদের প্রাণ। পুনর্নির্মাণের কাজ ৯০ শতাংশ হয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় কোমর পর্যন্ত জল জমে আছে। আরও বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে হবে। আমরা ধ্বংসলীলা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা খুশি। কলকাতায় জল জমলেই রাজনৈতিক দলগুলি চিৎকার শুরু করে দিচ্ছে। জল জমছে, আবার দ্রুত সরেও যাচ্ছে।’ তিনি জানান, স্কুল–কলেজ খুললে ছাত্রছাত্রীরা গাছ লাগাবে। ক্লাবও গাছ লাগাবে।