কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সফরের আগে সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

0
688

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: আমপান ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা করতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এসে পৌঁছবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তার আগে উন্নয়নের প্রশ্নে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের বার্তা দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রবীণ সাংবাদিক মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, দিদি আপনার কি মনে হচ্ছে না আমাদের পশ্চিমবাংলা, আমাদের বাংলা কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হচ্ছে?

সেই প্রশ্নের উত্তরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সব সময়ে ঝগড়া করতে রাজি নই। বরং গঠনমূলক কাজের জন্য সহযোগিতা করে চলার পক্ষে। কেন্দ্রের কাছেও আমার আবেদন, দয়া করে রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। আমরা চাই রাজ্য আর কেন্দ্রের মধ্যে একটা উন্নয়নের সেতু তৈরি হোক।” এখানেই না থেমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ কখনও কখনও নির্বাচন আসে। তখন রাজনৈতিক লড়াই হবে। কিন্তু তা সব সময় নয়। রাজনীতির করতে গিয়ে রাজ্যের ক্ষতি না হয়ে যায় সেটা দেখতে হবে।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রাজনীতি ও প্রশাসনিক বিষয়ের ক্ষেত্রে সময়ের বিশেষ মাহাত্ম্য থাকে। সময়ের গুণে অনেক সাধারণ কথাই অর্থবহ হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যে সহযোগিতার কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সেটাই হওয়া উচিত। তা নতুন কথাও নয়। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল উমফান কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য রাজ্যে আসছেন।

তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য তাৎপর্যের বইকি। বিশেষ করে এটা পরিষ্কার যে, রাজ্যের যা রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি তাতে উমফানের ক্ষতিপূরণ রাজ্যের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ধরনের বিপর্যয়ের মোকাবিলা কোনও রাজ্যই একা করতে পারে না। কেন্দ্রের সাহায্য অপরিহার্য। এবং সেই সহযোগিতা পাওয়ার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশও প্রয়োজন।

শুধু মুখ্যমন্ত্রীর কথাই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বুধবার আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ঘটেছে। এ দিন সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। যে রাজ্যপালের সঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত চলছে, সেই ধনকড় এদিন নিজে থেকেই বলেছেন, তিনি বিতর্কে ঢাকনা দিতে চাইছেন। রাজ্যপাল এও জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট। ধনকড়ের এই ভূমিকাতেও অনেকে বিষ্মিত।

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির এক মুখপাত্র তির্যক মন্তব্য করে বলেন, কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতা করে চলবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা নিয়ে বা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্য যে ‘সহযোগিতার’ নজির রেখেছে তা সত্যিই মাইলফলক। তাঁর কথায়, উমফানের ক্ষতিপূরণের জন্য কেন্দ্রের ভূমিকা গোড়া থেকেই ইতিবাচক। 

ঘটনার পরই বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তৎক্ষণাৎ ১ হাজার কোটি টাকা অগ্রিম অনুদান ঘোষণা করেছেন। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সেই টাকা ট্রান্সফারের নির্দেশ দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। তার পর দশ দিন না কাটতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বাংলায় আসছে। এগুলো সবই সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর শর্ত মেনেই করছে কেন্দ্র।

Previous articleবিশ্ব পরিবেশ দিবসে সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ! ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleবিদ্যুৎ, কেব্‌ল,মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারীদের সর্তক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here