দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সাধারণ মুরগির ডিমে সবুজ রঙের কুসুম। তবে খেতে একেবারে হলুদের মতোই স্বাভাবিক। রংটাই যা আলাদা। আর সেটা একটা মুরগির নয়। একই হ্যাচারিতে থাকা ছ’টি মুরগি একই রমক সবুজ কুসুমের ডিম পেড়ে চলেছে। আর তা দেখে সকলেই তাজ্জব। কেরলেই ওই অবাককাণ্ডের উত্তর মিলল অবশেষে। জানা গেল, ওষধি গাছের দানা খেয়েই এমন সবুজ কুসুমের ডিম পারছে মুরগিগুলি।
কেরলের মালাপ্পুরম জেলার ওথুক্কুঙ্গুলের ওই হ্যাচারির মালিক এ কে সইবুদ্দিন মুরগিরা অমন ডিম পাড়ছে দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান। তারপরে সেটা তিনি খেয়েও দেখেন। তাঁর দাবি, একেবারে স্বাভাবিক ডিমের মতোই স্বাদ। এর পরে তিনি কেরল ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (কেভিএএসইউ)-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ওই মুরগিগুলি ও তাদের পাড়া ডিম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এবার তাঁরা জানালেন অমন সবুজ কুসুমের রহস্য। বিজ্ঞানীদের দাবি, মুরগিগুলির খাদ্যভাসে বদল আনতেই কুসুমের রং হলুদ হয়ে গেছে।
মাস ন’য়েক আগে সইবুদ্দিন দেখেন তাঁর পালন করা মুরগির পাড়া একটি ডিমের কুসুম সবুজ রঙের। প্রথমে তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ ওই ডিম খাননি। এটা খাওয়া ঠিক হবে কিনা সেটাই বুঝতে পারেননি তাঁরা। এর পরে দেখেন প্রতিদিনই ওই মুরগিটি সবুজ কুসুমের ডিম পেড়ে চলেছে। তারপরে দেখা যায়, একে একে আরও অনেক মুরগিই সবুজ কুসুমের ডিম পাড়ছে। তখনই বিশ্বিবিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি।
কেভিএএসইউ-র গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রথমেই মনে করা হয়েছিল খাদ্যভাসের জন্যই এমন কাণ্ড। সেই কারণে, মুরগিগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে সাধারণ দানা খাবার দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর থেকেই দেখা যায় মুরগিগুলি সাধারণ ডিম পাড়ছে। কুসুমের রং একেবারে স্বাভাবিক। এর পরে হ্যাচারির মালিক এ কে সইবুদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি সাধারণ দানা শস্য খাওয়ান না মুরগিদের। তিনি বিভিন্ন ওষধি গাছের বীজ খাওয়ান। গবেষকদের বক্তব্য শোনার পরে তিনি দাবি করেছেন, এটি তাঁর ফার্মের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ফল।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10218862703096843&id=1179860551
হ্যাচারি মালিক সইবুদ্দিন চাইছেন এমন আরও মুরগি পালন করতে চান যারা সবুজ কুসুমের ডিম পাড়বে। তবে এখনই তিনি ওই ডিম বিক্রি করতে রাজি নন। বরং, চাইছেন ওই সব ডিম থেকে আরও মুরগি হোক। তারাও সবুজ কুসুমের ডিম পাড়ুক।