দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃআজ ইদ–উল–ফিতর্। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সব চেয়ে খুশির দিন। অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে ইদ পালিত হচ্ছে সারা দেশে। সোমবার সকালে দেশবাসীকে ইদ-উল-ফিতারের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।টুইট করে ইদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বার্তা দেন সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির। লকডাউনের কারণে এবার ধর্মীয় জমায়েত নিষিদ্ধ। তাই এই উৎসবের দিনে মানুষকে যে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে তার জন্য সমবেদনাও জানান মোদী।
গত মাসের রমজান মাস চালু হওয়ার পর একটি রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সচেতনতার বার্তা দিয়েছিলেন। সংক্রমণ এড়াতে রমজান মাসে কোথাও যাতে ধর্মীয় জমায়েত না হয় সে ব্যাপারে ধর্মীয় নেতাদের আরও উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
রেডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এর আগে কখনও এত সংকটের মধ্যে রমজান পালিত হয়নি। কিন্তু এবার গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ইদের আগে করোনাভাইরাসকে বিদায় দিতে পারলে খুশিতে ইদ উদযাপন করা যাবে। কিন্তু সংক্রমণ তো কমেইনি বরং প্রতিদিন তা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
দিল্লির জামা মসজিদের ইমামও আবেদন জানিয়েছেন এ বছরটা ঘরে বসে ইদের প্রার্থনা করতে। শুধু তাই নয়, যোগী আদিত্যনাথ থেকে উদ্ধব ঠাকরে একাধিক মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছেন ইদের দিন ঘরে থাকতে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শনিবার কাকদ্বীপ থেকে ফিরে জরুরি সাংবাদিক বৈঠক করে সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে বার্তা দেন।
মমতা বলেন, “আমি প্রতিবছর ইফতার করি। এবার পারছি না। আমার কি খারাপ লাগছে না? রেড রোডের নামাজে যাই। এবার সেখানেও নামাজ হবে না।” এদিন সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে মসজিদগুলিতে বড় কোনও জমায়েত নেই। বরং জেলায় জেলায় বাড়িতে বসেই নামাজ পড়ছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা।
লকডাউনের মধ্যে সারা দেশেই একাধিক উৎসব গিয়েছে। পয়লা বৈশাখ থেকে বিহু, পোঙ্গল সবই পড়েছিল এর মধ্যে। বাসন্তী পুজো, অন্নপূর্ণা পুজো, ফাল্গুন মাসের অমাবস্যায় কালী– সবই প্রায় নমঃ নমঃ করে সারতে হয়েছে। এবার ইদও।
কোভিড–১৯–এর জন্য চলা লকডাউনে সারা দেশের সব মসজিদই বন্ধ। দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, লখনউ, সর্বত্রই এক ছবি। লকডাউন বিধি মেনে এবার বাড়িতেই ইদের নমাজ পাঠের পরামর্শ দিয়েছিলেন ইমাম এবং মৌলবিরা। সেই মতো সকালে রমজান মাসের শেষে সোমবার সকালে ইদের নমাজ বাড়িতেই পাঠ করেন সবাই।
তারপর প্রথা মেনে পরিবারের লোকজন নিজেদের মধ্যেই শুভেচ্ছা বিনিময় করে মিষ্টিমুখ সারেন। অন্যান্য বার ইদের সময় মুসলিমরা নতুন পোশাক, গৃহসজ্জার সামগ্রী, দেদার ফল, মিষ্টি কেনাকাটা করেন। হাতে মেহেন্দি আর চোখে সুরমা লাগাতে ভিড় করে তরুণ–তরুণীরা। কিন্তু লকডাউনের জন্য এবার ইদের বাজার ছিল ঝিমোনো। ফল, মিষ্টিই হোক বা পোশাকের দোকান, ক্রেতাদের ভিড় ছিল নগন্য, আক্ষেপ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এমনকি লকডাউনের সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ইদে আত্মীয়–বন্ধুদের বাড়িতে মিষ্টি হাতে নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেও যাননি মুসলিমরা।
Eid Mubarak!
— Narendra Modi (@narendramodi) May 25, 2020
Greetings on Eid-ul-Fitr. May this special occasion further the spirit of compassion, brotherhood and harmony. May everyone be healthy and prosperous.