দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সন্ধে সাতটা নাগাদ যে খবর দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে তাতেই আন্দাজ করা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার সকালে আলো ফুটলে বিপর্যস্ত বাংলার ছবি দেখতে হবে রাজ্যবাসীকে।
আমপানের ঝাপটায় একের পর এক নদী বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলিংহাম, উত্তর চব্বিশ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমার জি প্লট, সাগরের মৌসুনি আইল্যাণ্ডের একটি বাঁধ, নামখানার একটি বাঁধের তিনটি পয়েন্ট এবং ক্যানিংয়ে মাতলা নদীর উপর একটি বাঁধের দুটি পয়েন্ট ভেঙে গিয়েছে।
বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছে গ্রামে। কোথাও ৩০ মিটার, কোথাও আবার ৫০ মিটার পর্যন্ত বাঁধ ভেঙেছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে। অনেকের আশঙ্কা, সারা রাত জল ঢুকতে থাকলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। যা এই কোভিড পরিস্থিতিতে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করতে পারে। নারায়ণপুর এবং কচুবেড়িয়ায় জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেটিও। কার্যত লণ্ডভণ্ড অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। রাত আটটা পর্যন্ত খবর, এই দুর্যোগে রাজ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, কাঁথি, দিঘা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নামখানা, কাকদ্বীপ, গোসাবা, বাসন্তী, রায়দিঘী, উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালি, বসিরহাট, হাসনাবাদ,বনগাঁ,গাইঘাটা, বাগদা, হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় মাটির কাঁচা বাড়ি কার্যত মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে সুপার সাইক্লোন আমপান। বিদ্যুতের তার ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। উপড়ে গিয়েছে খুঁটি। ফলে আগামী কয়েকদিন বিদ্যুৎহীন থাকতে পারে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক জায়গায় উপড়ে গিয়েছে গাছ। বিপর্যস্ত শহর কলকাতাও। মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ার খবর মিলেছে। ভেঙে পড়েছে সিগনাল পোস্টও।