দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র। রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার কর্তৃপক্ষের যে এক্সিকিউটিভ কমিটি রয়েছে, তারা পরিস্থিতি বিচার করে প্রয়োজন অনুযায়ী চতুর্থ দফার এই লকডাউনের গাইডলাইন ঘোষণা করবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে আজ রবিবার রাত ৯ নাগাদ ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা সব রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে বিশদ গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার লকডাউন ঘোষণার আগে ১৫ মে-র মধ্যে সব রাজ্যের থেকে পরামর্শ চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে হেতু এক এক রাজ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর চরিত্র ও প্রকার এক এক রকম, তাই গাইডলাইন ঘোষণার আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ জরুরি বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, অনেক রাজ্যে সংক্রমণ কম ছড়িয়েছে বা নতুন সংক্রমণের খবর গত চার পাঁচ দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই রাজ্যগুলিতে সাধারণ মানুষকে ধাপে ধাপে সব রকম দৈনন্দিন কাজকর্মে অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। আবার মহারাষ্ট্র, চেন্নাই, কলকাতার মতো মহানগরীতে যেখানে সংক্রমণ এখনও দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে সেখানে অবশ্যই সাবধানতা ও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
তাৎপর্যপূর্ণ গত ২৫ মার্চ যখন দেখে লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় তা ঘোষণা করেছিলেন। লকডাউনের মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়ানোর ঘোষণাও প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু তৃতীয় দফায় তা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর আজ চতুর্থ দফার জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ।
অনেকে মনে করছেন, এর পিছনে রাজনৈতিক চিন্তাও থাকতে পারে। লকডাউনের অভিজ্ঞতা দেশে ভাল নয়। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা মাইলের পর মাইল ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ নিয়ে হেঁটে চলেছেন। বহু পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। এর প্রশাসনিক দায় চাপছে কেন্দ্রের উপর।
তাই ক্রমশ কেন্দ্র লকডাউনের ঘোষণা থেকে হয়তো নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে রাজ্যকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশীদার করছে। তা বেশি করে তুলে ধরছে। সেই সঙ্গে চতুর্থ দফার লকডাউনের জন্য ঘোষণা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হল মাত্র।