দেশের সময়, ওয়েব ডেস্ক:- বামেদের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে উত্তাল যাদবপুর। গ্রেফতার হয়েছেন বিধানসভার বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী সহ কয়েক জন বাম কর্মী সমর্থক। সূত্রের খবর, ধর্মঘটকে সফল করার দাবী নিয়ে বুধবার সকালে পথে নামে বামেরা। যাদবপুর এইট বি বাস স্ট্যন্ড থেকে শুরু হয় মিছিল। তবে মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তা আটকে দেয়। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। পুলিশের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বাম কর্মী সমর্থকরা। উল্লেখ্য গতকাল বন্ধের সমর্থনে পথে নেমে গ্রেফতার হয়েছেন সিপিএম নেতা অনাদি শাহু সহ বহু ধর্মঘটি। আজও সেই সম্ভাবনা থাকবে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। অন্যদিকে বাম নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত বড়ো রাস্তা ছেড়ে মিছিলের জন্য ছোট অলিগলির উপর জোর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে পুলিশের সামনে পড়া ও আটক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে। ধর্মঘট সমর্থনকারীদের বক্তব্য, “গ্রেফতার নয় বরং ধর্মঘটকে সফল করাই মূল লক্ষ্য”। অন্যদিকে আজ সকাল হতেই কিছু জায়গায় বন্ধের প্রভাব লক্ষ্য করা গেলেও বেলা গড়াতেই এক কথায় সচল হয়েছে জনজীবন। সবক্ষেত্রে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। সকালে শিয়ালদহ শাখার কিছু স্টেশনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও এখন স্বাভাবিক রয়েছে রেল পরিষেবা। পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবরা ও সংহতি স্টেশনের মাঝখান থেকে বোমা উদ্ধার কে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীতে বম্ব স্কোয়াড এসে তাজা বোমাটি নিস্ক্রিয় করেছে। এই মুহূর্তে বনগাঁ-শিয়ালদহ স্টেশনে সচল ট্রেন চলাচল।পেট্রাপোল সীমান্তের স্থল বন্দর বনধের দ্বিতীয়দিনেও স্বাভাবিক৷ শহর বনগাঁয় কোথাও বনধের ছাপ পড়েনি|