পার্থ সারথি নন্দী, বনগাঁ: করোনা-সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গের এই চার জেলাকে রেড জোন হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার কোন এলাকা অতি স্পর্শকাতর বা কনটেনমেন্ট জোন, সোমবার সেই তালিকা প্রকাশ করেছে নবান্ন। তারপর আরও তৎপর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় ঠেকানোর পাশা পাশি শহর এবং গ্রামের পার্লার বা সেলুন গুলিতেও যাতে কোন ভাবে ভিড় না হয় তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন৷ এর ফলে এক প্রকার সব সেলুনই বন্ধ রয়েছে৷পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে বনগাঁ মহকুমার বেশ কিছু নামিদামী পার্লার দোকানের সামনের শাটার নামিয়ে রেখে ভিতরে ভিতরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল৷ বিএসএফ ক্যাম্প মোড়,মতিগঞ্জ,সহ যশোর রোডের আশেপাশেও বেশ কিছু সেলুন চলছিল এভাবেই।স্থানীয় মানুষ সতর্ক করায় সে সব দোকান বন্ধ করা গেছে নির্বিঘ্নে৷
প্রসঙ্গত মধ্যপ্রদেশে একটি সেলুন থেকে ছড়িয়েছিল করোনা সংক্রমণ সেই বিষয়টি প্রত্যেক সেলুনের কর্মরত শ্রমিকদের কেও বোঝানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে এরপরই মঙ্গল বার সকাল থেকে এই সব এলাকার সেলুন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিন সকালের দৃশ্যটি বদলে যায় অনেকটাই।কোথাও বাড়ির পাশের মাঠে, কোথাও আবার খোলা আকাশের নীচে জঙ্গলের মধ্যে নির্জনে একটা চেয়ার বসিয়ে ক্ষৌর কাজ করতে দেখা গেল অনেক কেই।এমনই এক জন বনগাঁ জয়পুরের সেলুনের মালিক দীলিপ প্রামাণিক বলেন, মোবাইল এ যারা যোগাযোগ করছেন,তাঁদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি৷সেখানেই কোন ফাঁকা জায়গায় সমস্ত নিয়ম মেনে কাজ শুরু করেছি।এতে কিছু রোজগার যেমন হচ্ছে, পাশাপাশি মানুষেরও উপকার হচ্ছে।
আবার আরেক সেলুনের কর্মী কে দেখা গেল পেশা বদল করে মাছ বিক্রি করছেন৷এলাকায় তাকে গাড়ি বলাই নামেই চেনেন সকলে৷ বলাই জানান গত দুহাজার সালের বন্যার পর প্রথমে গাড়ির খালাসি হিসাবে কাজ শুরু করি পরে গাড়ি চালাতে শুরু করেছিলাম এবার করোনার জেরে গাড়ি ছেড়ে,সেলুন ছেড়ে ইছামতি,নাওভাঙা বা কখনো বাওড়ের মাছ ফেরি করে বিক্রি করে কোন রকমে এখনও বেঁচে আছি।