দেশের সময়,হাবড়া: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বিভিন্ন বাজারে থার্মাল স্ক্রিনিং করা শুরু করল প্রশাসন। সকাল থেকে যাঁরা বাজার করতে বেরিয়েছেন তাঁদের লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে হাবড়া থানা, হাবড়া পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের উপস্থিতিতে চলছে থার্মাল স্ক্রিনিং। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে হাবড়া থানা এলাকার বড় দু’টি বাজার ও নাকা চেকিং পয়েন্টে থার্মাল স্কিনিং করা শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে চলছে হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা। এখন বেশ কিছুদিন এই ব্যবস্থা চলতে থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্র বলেন, “এখানে দেখা হচ্ছে যে কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি আছে কিনা বা অন্য কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কিনা। এভাবেই সব জায়গায় প্রাথমিক ভাবে করোনাভাইরাস রোগীদের চিহ্নিত করা হয়।” একাধিক বাজার ছাড়াও বেলঘরিয়া বাইপাসের নাকা পয়েন্টে এই কাজ চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত ভাবে এখন এই অভিযান চলবে বলে জানান হাবড়ার আইসি। হাবড়া পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রাক্তন কর্তা তারকনাথ দাস বলেন, “পাটপট্টি কালীবাড়ি বাজার হল হাবড়া থানা এলাকার সবচেয়ে বড় কেনাবেচার জায়গা। এখানে পাঁচটি রাস্তা রয়েছে। তার মধ্যে দুটি রাস্তা এখন আমরা খোলা রেখেছি। একটি ঢোকার জন্য ও একটি বেরনোর জন্য।” রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো প্রত্যেকে যাতে মাস্ক পরেন সেজন্যও তাঁরা সকলকে সচেতন করছেন।
করোনা সন্দেহে হাবড়া জিআরপির এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এদিন হাবড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতা বাঙ্গুর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে যে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তাঁর জ্বর ছিল। সোমবার সকাল থেকে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তারপরেই করোনা সন্দেহে কলকাতায় রেফার করা হয়।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এখন অন্যতম করোনা হটস্পট। এই জায়গকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেড থেকে অরেঞ্জ জোনে আনতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই তৎপর জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ।