দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবার দুপুরে সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে। তার ঘণ্টা দুয়েক পরে নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২৪ মার্চ থেকে ৪৯ দিন হচ্ছে ১৯ মে পর্যন্ত। এই সময়টা ভাল করে সাবধানে কাটিয়ে দিতে পারলে অনেকটা বিপদ কেটে যাবে।”
স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়, তাহলে কি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান বা রাজস্থানের অশোক গেহলটদের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন?
এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠকের শেষে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশেষজ্ঞদের মতামত পড়ে এটা বলেছি। এর কোনও প্রমাণ বা সত্যতা আমার জানা নেই। আমি এক্সপার্ট নই।”
বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ তথা বিসিজি সম্প্রতি পরামর্শ দিয়েছে, ৪৯ দিন লকডাউন কার্যকর থাকলে তবেই সংক্রমণের শৃঙ্খল সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব। তাঁদের অনেকের বক্তব্য, ১৫ এপ্রিল যদি ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে লকডাউন তুলে নেওয়া হয় তাহলে এই ২১ দিনের সাফল্যও জলে যাবে।
মূলত বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের ওই রিপোর্টকে সামনে রেখেই দুদিন আগে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বলেছিলেন, অন্তত ২ সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হোক। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানিয়েছেন চন্দ্রশেখর।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে বলেন, “আমাকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, সর্বদল বৈঠকে নাকি প্রধানমন্ত্রী লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে বলেছেন। কিন্তু যতক্ষণ না কেন্দ্রের তরফে সরকারি ভাবে আমাদের কিছু বলছে ততক্ষণ এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলব না। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।”
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “লকডাউন বাড়ানো হলে মানুষের অসুবিধে হবে। এখনও মানুষের অসুবিধে হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “লকডাউন বাড়ানো হলেও যেন আমরা মানবিক ভাবে তা দেখি। কড়াকড়ি করব কিন্তু বাড়াবাড়ি যেন না করি!”
আগামী শনিবার ফের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি সূত্রে জানা গেছে ওই বৈঠক এবং তারপর মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকের পরই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।