দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক: পর্যাপ্ত খাবার মজুত করা আছে। বিচলিত হবেন না। রেশন দেওয়ার সময় অযথা হুড়োহুড়ি করবেন না। কেউ কেউ রেশনের দোকানে ঢুকে চালের বস্তায় হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছেন, আটার প্যাকেট ভাল করে দেখছে। এ সব যারা করছেন তারা ঠিক করছেন না। হুড়োহুড়ি করার ফলে রেশনের দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।’ বৃহস্পতিবার খাদ্যশ্রী ভবনে বসে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই মন্তব্য করেন।
সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাইস মিলগুলোকে চাল ছাড়ার জন্য বলা হয়েছে। সেই চাল ছাড়া হচ্ছে। বাজারে স্বর্ণমাসুরি চাল ২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এই চালের তো সুনাম আছে। ভাল টেস্ট। এ ছাড়া রেশন দোকান থেকেও চাল দেওয়া হচ্ছে। রেশনের সরবরাহ ভাল হলে, খোলা বাজারে চালের দামও কমে যাবে। আতঙ্কিত হবেন না। ভয় পাবেন না।’
এদিন জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘যারা রেশন তুলতে আসছেন, তারা অবশ্যই মাস্ক পরে আসবেন। হাত স্যানিটাইজ করে নেবেন। খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বাড়ি চলে যাবেন। গল্প করার কোনও প্রয়োজন নেই। জটলা করবেন না। গোল দাগে পরপর লাইন দিয়ে রেশনের দোকানে আসবেন। এত হুড়োতাড়া করার কী আছে?
সব দোকানে তো খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। আগামী কয়েকটা দিন ভয়ঙ্কর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা রুখতে যে নির্দেশিকা দিয়েছেন তা মেনে চলতে হবে। পুলিশ খুব ভাল কাজ করছে। বুধবার দু–একটি ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’