দেশের সময়,ওয়েবডেস্ক:করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কেরলে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। শনিবার সকালে কেরলে ৬৯ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০।
শনিবার সকালে কেরলের চুল্লিক্কালের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগেই দুবাই থেকে ফিরেছিলেন ওই বৃদ্ধ। তারপরেই গত ২২ মার্চ তাঁর শরীরে কোভিড ১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। কালামাসসেরি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই প্রথম কেরলে করোনায় কারও মৃত্যু হল।
এর আগে মহারাষ্ট্রে ৪ জন, কর্নাটকে ৩ জন, গুজরাতে ৩ জন, মধ্যপ্রদেশে ২ জন এবং দিল্লি, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরে একজন করে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সেই তালিকায় এবার যোগ হল কেরলও।
বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০৬। তার মধ্যে ৮০৩ জনের শরীরে এখনও ভাইরাস রয়েছে। ৮৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় সবার উপরে রয়েছে কেরল। এই রাজ্যে ১৭৬ জন এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। তারপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ১৬২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে ২৩টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সময় মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ। রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। লকডাউন কেউ অমান্য করছেন কিনা সেদিকে নজর রাখছেন পুলিশকর্মীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এই ২১ দিনের মধ্যে যদি ভারতে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ কমে, তাহলে বলা যেতে পারে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই সফল হয়েছে ভারত। তাই আপাতত এই ২১ দিনের দিকেই তাকিয়ে সবাই।
“পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন।
অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্যসম্পর্কে সচেতন।
সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।”দেশের সময়”