দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশজোড়া লকডাউনের মধ্যে প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাজার-দোকান-ব্যাঙ্ক। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যকে ছাড় দেওয়ার ফলে এখন প্রতিদিন সকালেই ভিড় হচ্ছে বাজারগুলিতে। এইসব জায়গায় এলে বোঝা যাচ্ছে না যে দেশে আদৌ লকডাউন চলছে বলে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে দক্ষিণবঙ্গে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। কোথাও কোথাও ব্যবসায়ীরা নিজেরাই এব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছেন।
পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে একটি মুদিখানার দোকানি ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। দোকানের বাইরে হলুদ দাগ দিয়ে বৃত্ত এঁকে দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি বৃত্তের মধ্যে এক মিটার করে দূরত্ব থাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা কমেছে। এতে ক্রেতারা কোনও আপত্তি করেননি বরং তাঁরা খুশি।
বীরভূমের বিভিন্ন দোকানের বাইরেও এই ধরনের ‘সেফটি সার্কেল’ এঁকে দিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন বাজারেও সেফটি সার্কেল এঁকে দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই যে একমাত্র উপায় সেকথা সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। বাজারের মধ্যেও দু’জন মানুষের মধ্যে ন্যূনতম এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের সেই নির্দেশ অবশ্য বুধবারও মানা সম্ভব হয়নি জেলা সদরের বিভিন্ন বাজারে।
মেদিনীপুরের রাজাবাজার, গেটবাজার-সহ বিভিন্ন বাজারে বুধবার সকালেও লোকজন ভিড় করে কেনাকাটা করেছেন। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উদ্যোগী হয়েছে কোতোয়ালি থানা।
শহরের গেটবাজার, রাজাবাজার ও সব্জি বাজারে এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে বৃত্ত এঁকে দেন পুলিশকর্মীরা। বাজার বসার সময়ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। সারা দিন ধরে বাজার বসিয়ে রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শহরের শপিং মলগুলিতেও সতর্কতা চোখে পড়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্মণ রেখার মধ্যে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে এবং এক এক করে লোককে ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে। ভিতরেও বজায় রাখা হচ্ছে এক মিটার করে দূরত্ব।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই করোনা থেকে মোকাবিলার একমাত্র উপায়। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যাতে নিজেদের মধ্যে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখেন সেই চেষ্টাও করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমস্যা হচ্ছে বাজার-দোকান-ব্যাঙ্কে। এইসব জায়গায় এখন আঁকা হচ্ছে লক্ষ্মণরেখা।