দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তাঁর আহ্বানে জনতা কার্ফু সর্বাত্মক চেহারা নিয়েছে সারা দেশে। সেই তিনিই, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবদেন জানিয়েছিলেন, করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা সামনে থেকে লড়ছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য বিকেলবেলা পাঁচটা থেকে পাঁচটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত ‘তালি, থালি, ঘন্টি’বাজিয়ে ধন্যবাদ জানাতে। এদিন বিকেল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই ভারতের পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত জরুরি পরিষেবার কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে ঘর থেকে বারান্দায় বেরিয়ে এলেন কোটি কোটি মানুষ।
তারপরই দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “এটা ধন্যবাদেরআওয়াজ। করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে জয়ের সূচনা।”
বিলাসবহুল অট্টালিকার ব্যালকনিত থেকে টালির চালের বাড়ির দোড়গোড়া, কর্তব্যরত পুলিশকর্মী থেকে দুধের ডিপোর নিরাপত্তারক্ষী– ভাইরাসের ভয়ে একে অন্যের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন গৃহবন্দি ভারত কার্যত এক হয়ে গিয়েছিল ওই পাঁচ মিনিটে। কোথাও আবার এসবের বাইরে বেরিয়ে ফেটেছে আতশবাজি, বেজেছে শাঁখ। নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রীও।
গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় আজকে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন, জনগণের জন্য, জনগণের উপর স্বেচ্ছারোপিত কার্ফু। এদিন সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে জনশূন্য ভারতবর্ষ। তারপর সারাদিন একের পর এক সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একের পর এক রাজ্য লক ডাউনের পথে। পণ্যবাহী ট্রেন ছাড়া সমস্ত ট্রেন বাতিল। তবে করোনা ভয়ের মধ্যেও বিকেলের পাঁচ মিনিট ছিল যেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। মোদী যেন সেটাই ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। কারণ, চিকিৎসকদের অনেকেই বলেন, মনের জোর না থাকলে কোনও ওষুধই রোগীর কাজ করে না।