দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে ভারতে মারা গিয়েছেন দু’জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন। এবার ওই রোগকে ‘নোটিফায়েড ডিজাস্টার’ বলে ঘোষণা করক কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ সরকার স্বীকার করে নিল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিপর্যয়ের রূপ নিয়েছে। এবার বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে ওই রোগে আক্রান্তদের সাহায্য করা হবে। মৃতদের নিকটাত্মীয়রা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, যাঁরা নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের নিকটাত্মীয়রা ক্ষতিপূরণ পাবেন চার লক্ষ টাকা। যাঁরা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁদের কী পরিমাণে অর্থসাহায্য করা হবে, তা স্থির করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।
Government decides to treat #CoronavirusinIndia as a notified disaster for the purpose of providing assistance under the State Disaster Response Fund (SDRF).#CoronavirusPandemic #COVID19 pic.twitter.com/A0x0BnlQ12
— PIB India (@PIB_India) March 14, 2020
শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসাররা বলেছিলেন, এখনও ‘হেলথ এমার্জেন্সি’ অর্থাৎ স্বাস্থ্যের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করার সময় হয়নি। কেউ যেন অযথা আতঙ্কিত না হন। শনিবার সরকার জানায়, কোয়ারান্টাইন সেন্টারের জন্য অস্থায়ী আবাস, খাদ্য, জল, জামাকাপড় ও চিকিৎসার সরঞ্জামের জন্য সরকার ব্যবস্থা করছে। একইসঙ্গে বাড়তি কয়েকটি টেস্টিং সেন্টারও খোলা হবে। এছাড়া পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পোশাক, থার্মাল স্ক্যানার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতিও কেনা হবে। তার টাকা আসবে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে।
শুক্রবার সকালে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া বলেন, “ক্রিকেট খেলা দেখতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। কে কোথা থেকে আসছেন জানার উপায় নেই। মাত্র একজনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হলেই অনেকের দেহে ছড়িয়ে পড়বে।” করোনাভাইরাসের আতঙ্কে উত্তরপ্রদেশ সরকার আগামী ২২ মার্চ অবধি সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর টুইট করে জানিয়েছেন, শুক্রবার ইরান থেকে দেশে পৌঁছেছেন ৪৪ জন তীর্থযাত্রী।
অর্থনীতিবিদরা অনেকেই নিশ্চিত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে শীঘ্রই মন্দা শুরু হবে। কতদিন তা স্থায়ী হবে, সেই নিয়ে এখন চলছে বিতর্ক। সারা বিশ্বে বৃহস্পতিবার ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। বাদ যায়নি ভারতও। জে পি মর্গান চেজ অ্যান্ড কোম্পানির অর্থনীতিবিদরা বলেন, মন্দা শুরু হতে বেশি দেরি নেই। তাঁদের মতে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ যদি শীঘ্র কমে যায় এবং বিভিন্ন দেশের সরকার যদি বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেয়, তাহলে মন্দা এড়ানো যেতে পারে। একইসঙ্গে তাঁরা বলেন, তেলের দাম কমার ফলে মন্দার শক কম লাগবে।