‘ট্রাভেলগ’
লিখছেন~ দেবন্বিতা চক্রবর্তী,
ক্ষনে ক্ষনে রং বদলানো সিমলা পাহাড়ের সৌন্দর্যে মনমুগ্দ্ধ হওয়ার আগে পাড়ি দিতে হবে প্রায় ১৭৬৫ কিমি রাস্তা কালকা মেল এ ৷ হাওড়া স্টেশানে ফি রবিবার রওনা হয় এই গাড়ি ২৫ তারিখ বেড়িয়ে পরলাম হইহই করে সাথে ছিল রেইনবো -র এক জন প্রতিনিধি ৷ পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজা হল অখাদ আড্ডায় কি করে সময় কেটে যায়। বোঝায় যায় না৷কালকা মেলের সুদীর্ঘ ৩০ ঘন্টা ও যে কি করে কেটে গেল জানি না ৷ পথে পরেছে ঝাড়খন্ড, বিহার,ইউপি র কিছু অংশ , পুরোনো দিল্লি। ভোর রাতে চন্ডীগড় আর তারপর সকাল ৫ নাগাদ কালকা । সেখান থেকে রাস্তা আছে সোজা সিমলা ৷ কিন্তু আমরা ৫.৩০ ঘন্টার টয় ট্রেন এ যাওয়ায় স্থির করলাম । কারন হল শতবর্ষের আলোয় আলোকিত টয়ট্রেন হেরিটেজ তকমায় ভূষিত ৷ রোমাঞ্চকতায় ভরা এই রাস্তায় শুরু হল আমাদের পথ চলা , প্রায় ১০৩ টি টানেল এ ৩ কিমি পথে আসাধারন দৃশ্য হল পাহাড়ের গা ধরে ধাপে ধাপে উপরে ওঠা ৷ প্রায় ৯৬৯ টি কড়িহীন নদীর উপরে সেতু গুলোও ব্রিটিশ যুগের কারূকার্যের নিদর্শন দিচ্ছে৷ ধীরে ধীরে উপরে উঠতে উঠতে নীচে ফেলে আসছি অসংখ্য ঝরনা , রংবেরং এর গাছপালা আর ঘুম থেকে সদ্য জেগে ওঠা পাহাড়ী গ্রাম ৷ দূরের পাহাড়ের উপর সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা প্রবেশ করলাম ৩ কিমি গামী একটা লম্বা ৩৩ নং টানেল যেটি গিয়ে শেষ হয় বারোগ নামে স্টেশনে ৷ সেখানে ই ট্রেনের মধ্যেই ব্রেকফাস্ট করে আমরা ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে ১১ টার দিকে পৌঁছালাম সিমলা স্টেশনে ৷ সেখান থেকে ট্যাক্সি করে সোজা আগের থেকে বুক করা হোটেল মেরিডিয়ানে উঠলাম যা প্রধান শহরের বুকের উপর ই ৷ আর পিছনেই দুহাত বাড়িয়ে ডাকছে মেঘে ঢাকা পাহাড়ের চূড়ো গুলো । (ক্রমশ)