দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে কংগ্রেসের দিকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেসের উদ্দেশে বলেন, সাহস থাকে তো আপনারা ঘোষণা করুন, প্রত্যেক পাকিস্তানিকে নাগরিকত্ব দিতে চান। এর পাশাপাশি বিরোধীদের সম্পর্কে তাঁর অভিযোগ, তারা মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডের বেরহাইতে নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেন, “আমি কংগ্রেস ও তার বন্ধুদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চাই। যদি তাদের সাহস থাকে, খোলাখুলি ঘোষণা করুক, প্রত্যেক পাকিস্তানিকে তারা ভারতের নাগরিকত্ব দিতে তৈরি। তারপর সারা দেশ তাদের এজন্য মূল্য দিতে বাধ্য করবে।”
পরে তিনি বলেন, “আমি আবার ঘোষণা করছি, এই আইনে দেশের কোনও নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। প্রতিবেশী দেশগুলিতে যে সংখ্যালঘুরা ধর্মের কারণে নির্যাতিত হয়েছেন, তাঁদের জন্য ওই আইন করা হয়েছে।”
এর আগে সোমবার দুপুরে একটি টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের সব মানুষকে আশ্বস্ত করে দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই যে, নাগরিকত্ব আইনের জন্য কোনও নাগরিকের কোনও ক্ষতি হবে না। তা তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন। এই আইন নিয়ে দেশের কোনও নাগরিকের কোনও উদ্বেগের কারণ নেই। দেশের বাইরে বছরের পর বছর ধরে যে মানুষগুলো নিগৃহীত হয়েছেন, যাঁদের ভারত ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাঁদের জন্যই এই আইন”।
প্রধানমন্ত্রীর এই টুইট করার কারণ স্পষ্ট। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গোড়ায় শুধু অসম ও ত্রিপুরায় বিরোধিতা হচ্ছিল। কারণ, সেখানকার ভূমিপুত্ররা আশঙ্কা করছেন, এই আইন বাস্তবায়নের ফলে শরণার্থী বাঙালিরা নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। তাতে নিজভূমে তাঁরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন। কিন্তু তার পর সেই আগুন ছড়ায় বাংলা, দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গে যেমন সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি তীব্র আন্দোলনে নেমে পড়েছে, তেমনই দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রবিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেই প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ লাঠি চালানোয় দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।