দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ লোকসভায় অধিবেশন না চললে বুধবার রাজ্যে এক নজির তৈরি হতে পারত। এই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারতেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এদিন সন্ধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা।
এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্য ও জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। ছিলেন পুলিশ কর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরাও। এমনটাই হয়ে থাকে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে। কিন্তু সেখানে বিরোধী দলের সাংসদ, বিধায়করা অনেক সময়ে আমন্ত্রণই পান না। পেলেও আসেন না অনেকেই। তবে এদিনের বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন অধীর চৌধুরী।
জেলার সাংসদ হিসেবেই ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু আমন্ত্রণ এলেও তা রক্ষা করার উপায় ছিল না। সংসদে শীতকালিন অধিবেশন চলছে। আর তা বাদ দিয়ে কী ভাবেই বা আসবেন সংসদে কংগ্রেসের দলনেতা। তবে আসার ইচ্ছা ছিল। সেটাই তিনি জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। শুধু তাই নয়, তিনি যে সংসদ চালু থাকায় আসতে পারবেন না সেটাও চিঠি মারফৎ জানিয়ে দেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাস
নকে।অধীর চৌধুরীকে পাঠানো প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণপত্র৷
পরে এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে অধীর চৌধুরী বলেন, প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পেয়ে তিনি খুশি। যাওয়ার উপায় থাকলে যেতেন। আগামী দিনে এমন ডাক পেলে নিশ্চয়ই যাবেন। তিনি এও বলেন যে, রাজনৈতিক দুরত্ব যতই থাকুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কোনও সমস্যা থাকলে তো তাঁকেই বলব। এই প্রসঙ্গে কথা বলার সময়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি অধীর। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিবর্তন দেখে ভাল লাগছে। অতীতে অনেক বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি। আর এবার বৈঠকে ডাক। সত্যিই ভাল লাগছে।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সম্পর্ক কেমন তা অজানা নয় কারও। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে ব্যক্তিগত স্তরে পৌঁছে যায় আক্রমণ। সেখানে দাঁড়িয়ে এই চিঠি ও তার জবাব অন্য নজির তৈরি করল।