প্রদীপ দে,ঢাকা,দেশের সময়: বঙ্গোপসাগর ও দেশের নদনদীতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বুধবার রাত থেকে শুরু হয় ইলিশ–ধরা। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বাজারে আসতে শুরু করে ইলিশ। প্রথম দিনই বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডের ইলিশ আড়ত গুলি ইলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়। এদিন মাত্র ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অধিকাংশের পেটভর্তি ডিম। প্রথম দিন এত ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরা যেমন খুশি, ব্যবসায়ীরাও। তবে হঠাৎ ২০০ টাকা কেজি হওয়ায় অনেক ব্যাবসায়ী আবার অখুশি।
একের পর এক ইলিশবোঝাই নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোট এসে ভিড়ছে ঘাটে। সঙ্গে সঙ্গে সে সব নৌকা ঘিরে ধরছেন পোর্ট রোড ইলিশ মোকামের আড়তদাররা। রীতিমতো ইলিশ–উৎসব শুরু হয়েছে। সরগরম ইলিশের বাজার। আড়তদাররা ঘাট থেকে ইলিশ কিনে স্তূপ করে রেখেছেন আড়তের সামনে। এ অবস্থায় আড়তগুলোর সামনে প্রচুর ভিড়। সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দরদাম করছেন খুচরা ক্রেতারা। কেনাবেচার ধুম পড়েছে নগরীর পোর্ট রোডের ইলিশ আড়তগুলিতে৷
প্রচুর ইলিশের সরবরাহ থাকায় দামও কম। ক্রেতারাও খুশি। ইলিশ কিনছেন যে যার সাধ্যমতো। সাধারণ ক্রেতাসহ ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ইলিশ কেনার দিক থেকে তারাই ছিলেন এগিয়ে। ইলিশ কিনে ককশিটে বরফ দিয়ে প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা।
প্রতিটি আড়তের সামনে প্রচুর ইলিশ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। আড়তদার, মৎস্য শ্রমিক ও ক্রেতাদের ভিড়ে পুরো এলাকা সরগরম। ভিড় ঠেলে এক আড়ত থেকে অন্য আড়তে যেতে হিমশিম খেতে হয় তাদের।
ভিড়ের কারণ হিসেবে ক্রেতারা বলছেন, ২২ দিন ইলিশ ধরা ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ ছিল। মাস খানেক আগেও বেশি দামের কারণে ইলিশের পাশে ভিড়তে পারেনি মানুষ। কিন্তু এখন সেই ইলিশ প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। হাফ কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তবে ছোট সাইজের ইলিশের কেজি ২০০ টাকা।