দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সমুদ্রতটে ঘোড়া চলাচল নিষিদ্ধ করে দিল প্রশাসন। ঘোড়ার মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ছ’দিনের মধ্যে ঝাউবন থেকে ঘোড়ার তাঁবু সরিয়ে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে রিমোট যানও। আচমকা এমন সিদ্ধান্তে সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েকশো মানুষ।
পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি আপত্তি জানিয়েছিল প্রশাসনের কাছে। তাদের বক্তব্য ছিল, এখানে যে ভাবে ঘোড়া নিয়ে ব্যবসা করা হয়, তা অমানবিক। রোদ-ঝড়-জলে পশুদের বেঁধে রাখা হয় ঝাউবনে। সেখানেই তাদের খাওয়ানো হয়। একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, ঘোড়াগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে গায়ে রঙ করে দেওয়া হচ্ছে।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী বলেন শুধু ঘোড়া নয়। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে রিমোট কন্ট্রোলে চালিত খেলনা গাড়িও সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “পর্যটকদের তুলে তা দৌড় করানো হয়। এতে অনেক সময়েই পর্যটকরা আহত হচ্ছেন। একই সঙ্গে দূষণও ছড়াচ্ছে।”
গতমাসে দিঘায় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সমুদ্রতট পরিষ্কার রাখা এবং দূষণ নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ভোররাতে হাঁটতে বেরিয়ে তিনি দেখেন সি-বিচে প্লাস্টিক পড়ে আছে। প্রশাসনকে বলেন, এই বিচকে পরিষ্কার রাখতে যা যা করতে হয়, তা-ই করতে হবে।
তবে আচমকা এমন সিদ্ধান্তে সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই এই ব্যবসা করছেন । শনিবার রাতে শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল। তাঁরা জানিয়েছেন, বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না করে হঠাৎ ব্যবসা বন্ধ করে দিলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে। ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য, তাদের দাবি না মানা হলে বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তারা।