দেশের সময় :গত ২৩ অগস্ট, বুধ-সন্ধ্যায় চাঁদ ছুঁয়েছিল ভারত। ইসরোর বিজ্ঞানীদের তৈরি চন্দ্রযান-৩ বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র দেশের পাঠানো মহাকাশযান হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল ৷ ভার্চুয়ালি সেই ইভেন্টে যোগদান করলেও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সশরীরে ইসরোতে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিকস সামিটের জন্য সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ছিলেন তিনি। তারপর গিয়েছিলেন গ্রিসে। তবে দেশে ফিরেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানানোর জন্য বেঙ্গালুরুতে শনিবার সকালে পৌঁছে গেছেন তিনি। সেখানে একের পর এক বড় ঘোষণা করে চলেছেন তিনি।র দেশে ফিরে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
শনিবার সকালে বেঙ্গালুরুতে ইসরোর টেলিমেটারি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্কে গিয়ে পৌঁছান মোদী।তারপরেই ঘোষণা করেন, চন্দ্রপৃষ্ঠের বিক্রম যেখানে অবতরণ করেছিল, সেই জায়গার নাম হবে শিবশক্তি। তারপরেই তিনি ঘোষণা করলেন, ২৩ অগস্ট, অর্থাৎ ভারতের চন্দ্রজয়ের এই ঐতিহাসিক দিনটি এরপর থেকে জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসেবে পালিত হবে।
PM Modi greets women scientists at ISRO, commends their “key role” in Chandrayaan-3
— ANI Digital (@ani_digital) August 26, 2023
Read @ANI Story | https://t.co/FMxWKn6Td2#PMModi #Chandrayaan3 #womenscientists #ISRO pic.twitter.com/eIvIpwGcUK
অফিসে এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ তিনি বলেন, ভারতের জ্ঞান এবং বিজ্ঞান দাসত্বের সিন্দুকে আটকা পড়ে রয়েছে। ‘স্বাধীনতার অমৃতকালে আমাদের এই সিন্দুক খনন করতে হবে,’ জানান তিনি।
PM Modi greets ISRO scientists, declares August 23 as National Space Day
— ANI Digital (@ani_digital) August 26, 2023
Read @ANI Story | https://t.co/hHArpE9f8x#NationalSpaceDay #ISRO #Chandrayaan3 #PMModi pic.twitter.com/FrMCvxdgPk
এদিন ইসরোর প্রধান বিজ্ঞানী এস সোমনাথ সহ অন্যান্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। সেখানে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের পিছনে থাকা মহিলা বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। মোদী বলেন, ‘চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে মহিলা বিজ্ঞানীরা অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। শক্তি পয়েন্টটি আগামী প্রজন্মকেই মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞান কে ব্যবহার করতে অনুপ্রাণিত করবে। মানুষের মঙ্গলই আমাদের সবচেয়ে বড় অঙ্গীকার।’
চন্দ্রযানের এই সাফল্যকে ভারতের বৈজ্ঞানিক কৃতিত্বের একটি অসাধারণ অর্জন বলে দাবি করে মোদী জানান, এটাই হল ভারত, যাদের উদ্ভাবনী চিন্তা অনন্য। এই ভারতই বিশ্বের অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকাগুলিতে গিয়ে আলো ছড়িয়ে পৃথিবীকে উজ্জ্বল করে তোলে। তিনি আরও ঘোষণা করেন, সফল অবতরণে ব্যর্থ হলেও ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ চাঁদের বুকে যেখানে নিজের পদচিহ্ন রেখে এসেছিল, সেই জায়গাটির নাম হবে ‘তিরঙ্গা পয়েন্ট’।
ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা একটা সমগ্র প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলেছেন এবং তাদের মধ্যে নিজেদের চিহ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন।’
গত ২৩ অগস্ট, বুধ-সন্ধ্যায় চাঁদ ছুঁয়েছিল ভারত। ইসরোর বিজ্ঞানীদের তৈরি চন্দ্রযান-৩ বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র দেশের পাঠানো মহাকাশযান হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল । ভার্চুয়ালি সেই ইভেন্টে যোগদান করলেও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সশরীরে ইসরোতে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিকস সামিটের জন্য সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ছিলেন তিনি। তারপর গিয়েছিলেন গ্রিসে। তবে দেশে ফিরেই শুক্রবার সকালে ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানানোর জন্য বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে গেছেন তিনি। সেখানে একের পর এক বড় ঘোষণা করে চলেছেন তিনি।