ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বেনাপোল ও পেট্রাপোলে অমর একুশের প্রস্তুতি চলছে জোড় কদমে । দেখুন ভিডিও
কয়েক বছর হলো নিরাপত্তার কারণে সীমান্ত দুই দেশের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় না। ফলে সকলেই দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন না। তাতেও অবশ্য উৎসাহে ঘাটতি পড়ে না। দু’দেশের সম্পর্ক
যে এ ভাবে বেঁধে বেঁধে রেখেছে, সে হল ফেসবুক।
সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটের মাধ্যমে পরিচিত মানুষজন নিজেদের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোলে মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা শুরু করেন অনেক আগে থেকেই। তাতেই ছড়ায় আগ্রহ। অবেশেষে একুশের সকালে এই সীমান্তের শূন্য পয়েন্টে ছুটে আসেন দু’ বাংলার বহু মানুষ। শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দূর থেকে হাত নেড়ে দু’দেশের মানুষ ভাব বিনিময় করেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত ও বনগাঁ পুরসভার ব্যবস্থাপনায় এ বারও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন আগেই দু’দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়ে গিয়েছে কয়েক দফা। নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখতে পেট্রাপোলে এসে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জেলা পুলিশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া পোস্টার চার দিকে লাগানো হয়েছে। বেনাপোল – পেট্রাপোল সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ বেদী তৈরী হয়েছে। বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান বলেন , মঙ্গলবার সন্ধায় বনগাঁ থানার ইছামতি নদীর ঘাটে ২১টি প্রদীপ ও ২১টি পদ্ম ভাসানোহয় । নদীর পাশে সুসজ্জিত মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীদের উপস্থিতিতে একুশএ উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । ভির করেন অসংখ্য মানুষ ।
একুশকে কেন্দ্র করে কিছুটা যেন শিথিল সীমান্তের কড়াকড়িও। সব ক’টা জানলা খুলে যাওয়া— সময়ের অপেক্ষা মাত্র।বুধবার সাক্ষী থাকতে চান দুই বাংলার মিলনোৎসবের।