১০৮ টি ঢাকের ধ্বনিতে ধর্মীয় ঐতিহ্যে মজে বনগাঁর হিন্দু মহাসভা ‘বড়মা’ কালীর বিসর্জনে : দেখুন ভিডিও

0
11
অর্পিতা বনিক, দেশের সময়

বনগাঁ :বিপদে-আপদে বড় মা ভরসা। তিনিই মেটান ভক্তদের আবদার বা কামনা। আর, এই বিশ্বাস থেকেই প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যা, দীপান্বিতা অমাবস্যা ও ফলহারিণী অমাবস্যার রাতে বড় মা’র পুজো দেখতে পুণ্যার্থীরা বিপুল সংখ্যায় ভিড় করেন। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন  বনগাঁর হিন্দুমহাসভা ‘বড় মা’র দর্শনে। তাঁর কাছে মনস্কামনা জানাতে। দেবীর আশীর্বাদ নিতে। আর মায়ের বিসর্জনের মুহুর্তেও হাজার হাজার ভক্ত তাঁর সঙ্গে বনগাঁ শহর পরিক্রমার পর ইছামতী নদীতে নির্জনে সামিল হন।

দুর্গা পুজোর  পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁবাসী বরাবরই মেতেছে শক্তিসাধনায়। দেবী কালীর আরাধনায়। সেই কারণে বনগাঁর বহু প্রাচীন বড়’মা হিন্দুমহাসভা দেবী কালী ভক্তি ও সাধনার পীঠস্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভক্তদের কাছে৷ বলা যেতে পারে বনগাঁ এলাকার পীঠস্থানের মূলকেন্দ্র হয়ে উঠেছে হিন্দুমহাসভার কীলী পুজো । দেখুন ভিডিও

ইছামতির শহরে ঐতিহ্যবাহী হিন্দুমহাসভার ‘বড় মা’ দেবী কালীর বিসর্জন শোভাযাত্রার এক অপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষীহতে হাজার হাজার পুণ্যার্থীরা উপস্থিত হন এই শহরে । যশোর রোডের দু’ধারে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। তাঁরা প্রতি বছর প্রণাম সেরে আশির্ব্বদ নেন বড় মায়ের । কেউ আবার এই বিশেষ মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন।

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বড় মায়ের
বিসর্জন শোভাযাত্রা যশোর রোড ধরে বনগাঁ শহর পরিক্রমা করে ইছামতির তীরে আপনজন ক্লাবের ঘাটে পৌঁছায় প্রতিমা বিসর্জনের জন্য । পুরসভার উদ্যোগে ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখানেই নির্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এইবছর ।

লোকমুখে শোনা যায় এই মা-ও খুব জাগ্রত, মন থেকে কিছু চাইলে ভক্তদের মনের আশা পূর্ণ করেন মা।

৭৯ বছরের পুরোনো ঐতিহ্য বহন করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বনগাঁর হিন্দুমহাসভার (Bangaon Hindu Mahasava Khali Puja)  সাড়ে ১২হাতের কালী। এ বছর ৭৯ বছরে পড়ল এই পুজো।

বিগত কয়েক বছর ধরে শিল্পী প্রদীপ ভট্টাচার্যের হাতে সেজে উঠছেন মা। যদিও মায়ের আদল বরাবর সাবেকিয়ানা। পুজো হয় পুরোনো রীতি রেওয়াজ মেনেই।

সোনার গহনায় সাজে ‘বড় মা’ বিশাল প্রতিমা, মায়ের রূপ, ঝাড়বাতি আর প্রচলিত ১০৮ টি ঢাকের আওয়াজ যেন জাঁকজমক আর থিমের চাকচিক্যকেও হার মানায়। প্রতি বছর ভক্তি ও বিশ্বাসের টানে ভক্তরা ছুটে আসেন মায়ের কাছে। 

পুজোর উদ্যোক্তারা জানান, স্বাধীনতার আগে থেকেই হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী এই কালীপুজো I এখন বনগাঁর আপামর ব্যবসায়ীরদের হাত ধরে বনগাঁবাসীর পুজো হয়ে উঠেছে এটি।

জাঁকজমক নেই। সাবেকিয়ানা ও নিষ্ঠাই এই পুজোর মূল বিষয়, বললেন এবারের পুজো কমিটির সদস্য সুভাষ হালদার । তাঁর কথায় বনগাঁবাসীর কাছে হিন্দু মহাসভার কালীই তাঁদের ‘বড়মা’।

নেটিজেনরা বাংলার এই লোক-ঐতিহ্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন।

Previous articleভক্তরা বিশ্বাস করেন, যাঁর কেউ নেই, তাঁর আছেন দেবী মা সিদ্ধেশ্বরী : দেখুন ভিডিও
Next articleIndia to China Flight: গলছে বরফ , ৫ বছর পরে ফের ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি উড়ান চালু হচ্ছে রবিবার থেকে , আশার আলো দেখছে বাণিজ্যমহল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here