দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ ২০০০ সালে তাঁর নিজের কেন্দ্রেই শেখ হাসিনাকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। সেই অপরাধে ১৪ জনকে মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আদালত। দেশের মানুষের কাছে ‘দৃষ্টান্ত’ তৈরি করতে চায়। তাই এই ১৪ জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানোর নির্দেশ দিলেন ট্রাইব্যুনাল ১–এর বিচারক আবু জাফর মহম্মদ কামরুজ্জামান।
তবে দেশের আইন বাধা দিলে ফাঁসি দেওয়া হবে ১৪ জনকে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট এবং সর্বশেষে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিল আদালত। মঙ্গলবার শুনানির সময় ৯ জন আসামীকে হাজির করা হয়েছিল। তাদের সামনেই রায় দিয়েছেন বিচারক। বাকি পাঁচ জন ফেরার।ফেরার পাঁচ জন ধরা পড়লে তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
১৪ জন ষড়যন্ত্রীই নিষিদ্ধ সংগঠন হারকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি–বি)–এর সদস্য। ২০০০ সালের ২১ জুলাই দক্ষিণ পশ্চিম গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার একটি মাঠে নির্বাচনী প্রচার করার কথা ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। সেই মাঠে ৭৬ কেজির একটি বোমা রাখে হুজি–বি–র সদস্যরা। সেই অপরাধেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল আদালত।
প্রায় ২১ বছর আগের ওই মামলায় হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র, দেশদ্রোহ এবং বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। এত বছর ধরে প্রায় ৫০ জন রাজসাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়।