দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হালিশহরের বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল খুনের ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিজেপি কর্মীর পরিবারের তরফে এফআইআরে তিন জনের নাম দেওয়া হয়েছিল। ল্যাংড়া বাবাই-সহ তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিজেপির বক্তব্য, তিনজনই তৃণমূলের দুষ্কৃতী। তারাই শনিবার সন্ধ্যায় পিটিয়ে হত্যা করে তরুণ সৈকত ভাওয়ালকে।
গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, হালিশহর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার বিকেল থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান চলছিল। বারেন্দ্র গলি এলাকায় যখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলেন তাঁরা তখন ১০-১২টি বাইকে তৃণমূল কর্মীরা এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারতে শুরু করে। সৈকতকে ফেলে পেটাতে থাকে।” ভূপাল গঙ্গোপাধ্যায় নামের এক বিজেপি নেতা বলেন, “চোখের সামনে দেখলাম আমার সন্তানসম একটা জলজ্যান্ত ছেলেকে তৃণমূলের লোকেরা পিটিয়ে মেরে দিল। এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না।”
রক্তাক্ত সৈকতকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন মুকুল রায়ের ছেলে তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। তিনি বলেন, “বদলা নিতে গিয়ে আর একটা মায়ের কোল খালি করার কথা আমি বলতে পারব না। তবে বদলা হবেই।”
বছর ৩৫-এর এক যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপির বক্তব্য, এলাকার মানুষ ফুঁসছে। যারা এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা পরিচিত মুখ। এরপর তাদের উপর জনরোষ আছড়ে পড়লে বিজেপির কিছু করার থাকবে না। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও যান হাসপাতালে। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা সুবোধ ঘোষের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। যদিও শাসকদলের বক্তব্য সবটাই বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল।