হাথরাসে মৃত তরুণীর বাড়িতে রাহুল, প্রিয়ঙ্কা

0
458

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার সন্ধ্যায় হাথরাসে মৃত তরুণীর বাড়িতে পৌঁছলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। এদিন দুপুর আড়াইটেয় রুপোলি রং-এর টয়োটা ইনোভা গাড়িতে চড়ে তাঁরা হাথরাসের উদ্দেশে রওনা হন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁদের সঙ্গে যে কনভয় ছিল, তাতে ছিলেন ৩০ জন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁদের অন্যতম অধীর চৌধুরি, কে সি বেণুগোপাল এবং শশী তারুর।

দিল্লি থেকে হাথরাসের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। রওনা হওয়ার আগে এদিন সকালে রাহুল টুইট করে বলেন, পৃথিবীতে কোনও কিছুই আমাদের হাথরাসে যাওয়া থামাতে পারবে না। প্রিয়ঙ্কা সাংবাদিকদের বলেন, এবার যদি না যেতে পারি, পরে আবার চেষ্টা করব।

রাহুলদের কনভয় যখন দিল্লি-নয়ডা ডায়রেক্ট ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় পৌঁছেছে, তখন দেখা যায়, মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশবাহিনী। পুরো রাস্তা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তোলেন, গণধর্ষিতাকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ এই তৎপরতা দেখায়নি কেন?

এই সময় কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একদফা মারপিট হয়। তখন গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তিকে পুলিশের লাঠির ঘা থেকে রক্ষা করেন প্রিয়ঙ্কা।

দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে ওই মারপিটের ছবি মোবাইলে তুলে পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায়, সাদা কুর্তা পরা এক ব্যক্তিকে পুলিশ লাঠি দিয়ে মারছিল। সেই দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন প্রিয়ঙ্কা। গাঢ় নীল কুর্তা ও সাদা মাস্ক পরা নেত্রী লাফিয়ে পেরিয়ে গেলেন একটি হলুদ ব্যারিকেড। তারপর লোকটিকে আড়াল করে দাঁড়ালেন। তাঁকে রাস্তার ধারে বসালেন। পুলিশ যাতে আর না মারতে পারে, সেজন্য তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রইলেন।পরে উত্তরপ্রদেশ সরকার রাহুলদের কনভয়কে হাথরাসে যেতে অনুমতি দেয়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি এদিন বলেন, “কংগ্রেসের কৌশল সকলেই জানে। সেজন্যই ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয় হয়েছে।” পরে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে কোনও নেতাকে আটকানো যায় না। কিন্তু মানুষ জানে, রাহুল রাজনীতি করার জন্যই হাথরাসে যাচ্ছেন। মৃত তরুণীর পরিবার ন্যায়বিচার পেল কি না পেল তা নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন।”

স্মৃতির এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন কংগ্রেস কর্মীরা। এদিন বেনারসে তাঁরা স্মৃতির গাড়ি আটকে স্লোগান দিতে থাকেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই”, “স্মৃতি ইরানি গো ব্যাক”। মোবাইলে তোলা এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, স্মৃতি গাড়িতে বসে আছেন। তাঁর পরনে নীল-কালো রং-এর শাড়ি। মাস্কে মুখ ঢাকা। তাঁর গাড়ি ঘিরে আচ্ছে জনতা। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড। এই ঘটনায় কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ছবি সংগৃহীত

Previous article‘বিজেপিই সবথেকে বড় মহামারী’, মমতা
Next articleদেশের সময় ই পেপার/Desher Samay e Paper

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here