দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে, ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। জুলাই মাস থেকে ফের শুরু হবে পঠনপাঠন– এমনটাই মনে করা হয়েছিল সেই ঘোষণার পরে। কিন্তু সেটাও সম্ভব হবে না বলেই মনে হচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে। বুধবার, নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন এমনটাই। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে জুলাই মাসেও স্কুল খুলবে না।” তবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো সেরে ফেলা হবে বলেই জানান তিনি।
পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি স্কুলগুলির উদ্দেশে বেতন না বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “প্রাইভেট স্কুলগুলোর কাছে আমার অনুরোধ দয়া করে ফিজ বাড়াবেন না এই সময়।”
প্রসঙ্গত, অনৈতিক ভাবে ফি আদায়ের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে আজই বারাসতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল স্কুলের সামনে যশোর রোড, ৩৪ ও ৪৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা। সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট হয় জাতীয় সড়ক জুড়ে। চরম ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
এর পরেই বুধবার বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে আরও একবার ফি না বাড়ানোর কথা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিন কয়েক আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, উচ্চমাধ্যমিকের বাকি তিনটি পরীক্ষা হবে জুলাই মাসের ২, ৬ এবং ৮ তারিখে। সেগুলো হবে বলেই আজ নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রীও।
করোনা সতর্কতায় মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যে। তারপর ধাপে ধাপে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের শিক্ষা দফতর। সেখানে ঠিক হয়েছিল বাতিল হওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে ২৯ জুন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চম দফার লকডাউন ঘোষণা করার পর গাইডলাইন দিয়ে স্পষ্ট বলে দেয়, ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা খুলবে না।
তার পরেই নিশ্চিত হয়ে গেছিল, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গড়াবে জুলাইয়ে। সেই প্রত্যাশা মতোই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হয়েছে জুলাই মাসে। আজ মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, পরীক্ষা হবে সেই তারিখেই। কিন্তু স্কুল খুলবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। না খোলার সম্ভাবনাই বেশি।