দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নিম্নচাপের জেরে বিগত তিন-চারদিন বৃষ্টিপাত হচ্ছে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। কিন্তু শনিবার থেকেই ফের চড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। ভ্যাপসা গরম বাড়াচ্ছে অস্বস্তি। রবিবার রাজ্যে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই, জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রবিবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকলেও সোমবার ফের ভিজবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা।
বাংলায় এবার কবে বর্ষা ঢুকবে? আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেরলে বর্ষা ঢোকার সঙ্গে কলকাতায় বর্ষা ঢোকার কোনও সম্পর্ক নেই। কেরলে যদি বর্ষা ঢুকতে দেরিও করে, তাহলে বাংলায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মত আবহবিদদের। বাংলায় বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় সাধারণত ৮ জুন।
অন্যদিকে, এবছর দেশে বর্ষা কেমন হবে, সেই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, এবছর স্বাভাবিক বর্ষাই হবে দেশে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয় বর্ষা। এই সময়কালে স্বাভাবিক হবে বর্ষা। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে টানা তিনবছর দেশে স্বাভাবিক হতে চলেছে বর্ষা। আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের সচিব এম রাজীবন বলেছিলেন, ‘আমাদের সকলের জন্য ভালো খবর। কারণ এবছর বর্ষা স্বাভাবিক হতে চলেছে।’আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে জুন থেকে সেপ্টেম্বরে ৯৮ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বাড়াবে অস্বস্তি। একইসঙ্গে, রবিবার শুষ্ক আবহাওয়ার জেরে নাজেহাল হতে পারেন সাধারণ মানুষ। এদিকে সোমবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি । এদিন বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান ছিল সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, সোমবারই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে তাওকতে। ঘণ্টায় ঝড়ের বেগ হতে পারে ১৫০-১৬০ কিমি। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। সোম ও মঙ্গলবারের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে এই ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। ১৮ তারিখ সকালে গুজরাট উপকূল ছুঁতে পারে ঘূর্ণিঝড়।ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যেই কেরল, কর্নাটর, তামিলনাড়ু, গুজরাট, মহারাষ্ট্রে অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই লাক্ষাদ্বীপের উপর আরব সাগরে তৈরি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তামিলনাড়ুর দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কোয়েম্বাটুরে এনডিআরএফ দল পাঠানো হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে কন্যাকুমারীতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে, সমুদ্র উত্তাল হতে পারে।