সোনা নিয়ে আমার স্ত্রীর ধরা পড়ার খবর ছড়িয়েছে,এই খবরের কোনও সত্যতা নেই,: অভিষেক

0
786

দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃযুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে বিস্ফোরক অভিযোগের চোরাস্রোত বয়েচলেছে কয়েক দিন যাবৎ! অব শেষে মুখ খুললেন অভিষেক। রবিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন, তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলার বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বিদেশ থেকে সোনা আনার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার কোনও সত্যতা নেই। সেই সঙ্গে শুল্ক দফতরের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানিয়ে দিলেন, “বিমান বন্দরে কী হয়েছে তার সিসিটিভি ফুটেজ বের করা হোক। যদি একটা সেকেন্ডর ভগ্নাংশও দেখাতে পারে তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।” ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এ দিন আমতলায় তাঁর নির্বাচনী অফিসে ‘ব্যক্তিগত’ সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, “কেউ বলছেন দু’কিলো সোনা, কেউ বলছেন পঞ্চাশ হাজার ডলার নিয়ে আসছিল। অনেকে আবার বলছেন সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি তাঁদের বলছি, গোটা বিমানবন্দর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন। যদি একটা সেকেন্ডের কোনও ক্লিপিং দেখাতে পারেন আমি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না, এত বড় কথা বলে দিলাম।”

এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে পাঁচটি প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। এক, কাস্টমসের এফআইআর-এ ‘প্রোফাইল’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে দু’জন মহিলাকে ‘র‍্যানডমলি’ ‘প্রোফাইল দেখে’ আটকানো হয়েছে। এই ‘প্রোফাইল’ শব্দটির ব্যাখ্যা কী? দ্বিতীয়ত, সোনা যদি পাওয়াই যায়, তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়নি কেন? তৃতীয়ত, রাজ্য পুলিশ যদি কাস্টমসের কাজে বাধা দিয়ে থাকে, তাহলে কেন সিআইএসএফ-এর সাহায্য চাওয়া হল না? চতুর্থত, এতই যদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাহলে কাস্টমসের কেন সাত দিন লাগল এফআইআর করতে? পাঁচ নম্বর প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি জোর দেন যুব তৃণমূল সভাপতি। তা হল, ১৫ ও ১৬ তারিখে মাঝের রাতের বারোটা চল্লিশে তাঁরা বিমান থেকে নামেন। বিমানবন্দর ছাড়েন ১টা ১৫ মিনিটে। এই এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের সমস্ত ফুটেজ সিসিটিভি ফুটেজ বের করলেই সবটা প্রমাণ হয়ে যাবে।

বিরোধী দলের একাধিক নেতানেত্রী একাধিক জাতীয় ও বাংলা সংবাদমাধ্যমের খবরকে হাতিয়ার করে, অভিষেকের স্ত্রী বিমানবন্দরে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। এ দিন অভিষেক বলেন, “একাধিক পোর্টাল এবং নামজাদা সংবাদমাধ্যম এই খবর করেছেন। যা মিথ্যা। সেই খবরের ভিত্তিতে বিজেপি, সিপিএম, আর কংগ্রেস নেতারা আওয়াজ তুলছেন। আমি সবাইকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। দু’একদিনের মধ্যে মানহানির মামলা করব।”

অভিষেকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়নি বলেই হেনস্থা করা হয়েছে। যুব তৃণমূল সভাপতি জানিয়েছেন, গ্রিন চ্যানেল থেকে রুজিরা এবং তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলাকে রেড চ্যানেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বলেন, “দেশের ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে আমিই একমাত্র যে, অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তাই কি এত গাত্র দাহ?” তাঁর কথায়, “আমার সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে আজ আমার স্ত্রীকে আক্রমণ করছে। কাল আমার পাঁচ বছরের মেয়েকে করবে।”

বিভিন্ন পোর্টাল এবং সাইটে ২ কেজি সোনা নিয়ে আমার স্ত্রীর ধরা পড়ার খবর ছড়িয়েছে। এই খবরের কোনও সত্যতা নেই।একাধিক সংবাদমাধ্যম এই খবরটা করেছে।ভীষণই ব্যক্তিগত কারণে এই সাংবাদিক বৈঠক করছি৷

ফাইল চিত্র৷

Previous article২ এপ্রিল থেকে মমতা ঝড় বাংলায়, ৩ এপ্রিল জোড়া সভা মোদীর
Next articleমিষ্টিতেও ভোটের ছোঁয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here