‘সীমান্তে পিঠ দেখাবেন না’ -বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাকির হোসেন, ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “সীমান্তে আমাদের লোক মারে, আর বিজিবিকে পতাকা বৈঠক করতে বাধ্য করা হয়। দেশের সীমান্তে ঢুকে মানুষ মারলেও পতাকা বৈঠক করে বলা হতো সব ঠিক হয়ে গেছে”—ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রেক্ষিতে এ কথা উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “সেই দিন শেষ হয়ে গেছে। আমি বিজিবিকে বলেছি, পিঠ দেখাবেন না। এনাফ ইজ এনাফ (যথেষ্ট হয়েছে), আর নয়।” ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশজুড়ে কোটা সংস্কারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আহত বিজিবি সদস্যদের দেখতে ঢাকার পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়েও খোঁজ-খবর নেন। তাদের খোঁজ-খবর নেওয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন৷ এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বিজিবি নয়, পুলিশ, র্যাব ও আনসারকেও দানব বানানো হয়েছে। আমি যতদিন আছি ততদিন জাস্টিস (ন্যায়বিচার) রক্ষা করে যাবো।” তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে কিছু অ্যাকশনে গিয়েছি। যারা পুলিশকে দানব বানিয়েছে, ফ্যাসিস্ট পার্টির ফ্যাসিস্ট প্রোপাগান্ডায় এসব ফোর্সকে নষ্ট করা হয়েছে। তারাই বিজিবিকে সীমান্তে পিঠ দেখাতে বলেছে। অথচ বিজিবির সীমান্তরক্ষা করার কথা। নো মোর, নো মোর (আর নয়, আর নয়)৷ ইনশাল্লাহ আর এটি কখনও হতে দেওয়া হবে না। সীমান্তে পিঠ দেখাবেন না।” তালিকাভুক্ত ফ্যাসিস্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকারি প্রসেস অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির কাছে ইতোমধ্যে রিকমেন্ডসহ ফাইল চলে গেছে। তারা উন্মুক্ত থাকবে কি থাকবে না; সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।” স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এদিন বিজিবি হাসপাতালে গেলে তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সহ বিজিবি সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, গত রোববার বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশের শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে৷