দেশের সময় : বাংলাদেশ,নেপাল, ভুটান, সীমান্তের সমস্ত বাণিজ্য করিডর দিয়ে অত্যাবশ্যক পণ্য চলাচল শুরুর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, নেপাল, ভুটানগামী অত্যাবশকীয় পণ্য আটকে রাখার ফলে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন হচ্ছে। কোনও রাজ্য একতরফা সীমান্ত বন্ধ করতে পারে না। তাই বাণিজ্য করিডরগুলি জ্বালানি, এলপিজি, খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণের জন্য খুলে দেওয়া হোক। বাংলাদেশ সীমান্তের যে ক’টি করিডর দিয়ে পণ্য পরিবহণ হয়, সেগুলিও খুলতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। নবান্ন শনিবার পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান সীমান্তে বাণিজ্য করিডর খুললে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। ফলে সীমান্তে শিথিলতা দেখাতে রাজি নয় রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র এবং নিরাপত্তা অধিকর্তা সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে পেট্রাপোল, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও শিলিগুড়ির সীমান্ত পরিস্থিতি খোঁজ করতে পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের রিপোর্টেও এখনই অবাধ বাণিজ্য চালু না-করার কথা বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অবশ্য রাজ্যকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের লকডাউন নির্দেশিকায় সীমান্ত দিয়ে অত্যাবশ্যক পণ্যের যাতায়াত চালু রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও রকম আইনি বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে একতরফা সীমান্ত বন্ধ করেছে। এর ফলে নেপাল ও ভুটান সরকার বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। নেপালের পানিট্যাঙ্কি-কাঁকরভিটা, সুখিয়াপোখরি-পশুপতিনগর সীমান্ত বন্ধ। ভুটানের জয়গাঁও-ফুন্টশোলিং সীমান্তও বন্ধ। বাংলাদেশেও অত্যাবশ্যক পণ্য যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক আইনি চুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তাই সীমান্ত দিয়ে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানির গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হোক৷
ভাল্লা জানান, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে সীমান্ত বন্ধ করেছে। এর ফলে পেট্রাপোলে দু’হাজার ট্রাক আটকে রয়েছে। বীরপাড়ায় ১১টি ১৮ চাকার ট্রেলার আটকে রয়েছে। বাংলাদেশে আবার ১৭টি ভারতীয় ট্রাক আটকে। সেই সব লরি চালকদেরও ভারতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একই পরিস্থিতি নেপাল-ভুটান সীমান্তেও। যদিও নবান্ন এ নিয়ে এখনও সাড়া দিতে রাজি নয়।
আজ রবিবার সকালে পেট্রাপোল সীমান্তে গিয়ে দেখা গেল বহু ব্যাবসায়ী শুল্ক দফতরে খোঁজ খবর নিচ্ছেন,তবে কোন পণ্য চলা চল শুরুর প্রস্তুতি চোখে সেভাবে পড়েনি৷