দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে খুঁজে পেতে হন্যে হতে হল সিবিআই কর্তাদের। কলকাতা, বারুইপুর ঘুরে অনেক কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল তাঁকে।
বুধবার ঝাড়খণ্ড থেকে সিবিআই কর্তারা আসেন কলকাতায়। একটি মামলার নোটিস সুদীপ্ত সেনের হাতে দিতে আলিপুর জেলে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির গোয়েন্দারা। কারণ সিবিআইয়ের কাছে সুদীপ্তর ঠিকানা আলিপুর জেলই। কিন্তু গিয়ে দেখেন ভোঁভাঁ! আলিপুর জেলে কেউ নেই!
এরপর কয়েক জন কর্মী তাঁদের জানান, জেল সংস্কারের কাজের জন্য আলিপুর জেলের বন্দিদের ২০১৮ সালে বারুইপুর সংশোধনাগারে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে।
সিবিআই কর্তাদের গাড়ি ছোটে বারুইপুরের দিকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ফের বিপত্তি। বারুইপুর সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়ে দেয়, সুদীপ্ত সেন সেখানে নেই। তাহলে গেলেন কোথায়? এরপর সিবিআই আধিকারিকরা কলকাতা দফতরে যোগাযোগ করেন। তারপর জানা যায়, সুদীপ্ত সেন রয়েছেন আলিপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে।
নথিতে ঠিকানা বদল না হওয়ার কারণেই ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় এসে সুদীপ্ত সেনকে পেতে ঝক্কি পোহাতে হয় সিবিআই কর্তাদের। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে যখন আলিপুর জেল থেকে বন্দিদের সরানো হচ্ছে তখন সুদীপ্ত সেনের নিরাপত্তার কারণে তাঁকে বারুইপুরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাঁকে রাখা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেই থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়। গতকাল দেবযানীকেও নোটিস দিয়েছে সিবিআই।
মূলত সারদা মামলা ছিল তিন রাজ্যে। বাংলা, ওড়িশা এবং অসম। রাঁচিতে সিবিআই পৃথক মামলা দায়ের করেছে তা জানা যায় মাস তিনেক আগে। হঠাৎই একদিন দেবযানীর আইনজীবী বলেন, রাঁচি থেকে সিবিআই নোটিস দিয়ে গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই ধারণা একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার চিটফান্ড তদন্তে ঝাঁকুনি দিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিগুলি। বাংলার শাসকদলেরও তেমনই আশঙ্কা। এর মধ্যে একাধিক বার এজেন্সিকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহারের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তবে সিবিআইয়ের এই নোটিস দেওয়ার মধ্যে দিয়েই কি সেই ঝাঁকুনি শুরু হয়ে গেল? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।