দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার চার জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনগুলির উদ্দেশে নির্দেশ দেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল যদি নাও খোলে, তাহলে বাড়িবাড়ি গিয়ে সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল পৌঁছে দিতে হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, রাজ্য সরকার চায় রাজ্যেই সাইকেল তৈরি হোক। তাই সাইকেল কারখানা গড়ার ইচ্ছে রয়েছে বলেও জানান মমতা। তাঁর কথায়, “ আমরা এ রাজ্যে সাইকেল কারখানা করতে চাই। আমাদের এখানে যখন এত বেশি সাইকেল দেওয়া হচ্ছে তাহলে কেন এখানে সাইকেল কারখানা তৈরি হবে না!” তাঁর কথায়, “এতে তো আমাদের এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেতে পারে। এই বিষয়টি দেখতে হবে।”
তবে সার্বিক ভাবে সবুজসাথী প্রকল্প নিয়ে যে তাঁর ক্ষোভ রয়েছে সে কথা এদিন স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “গত শিক্ষাবর্ষে যত সংখ্যাক ছাত্রছাত্রীকে সাইকেল দেওয়ার কথা ছিল এখনও দু’লক্ষ কম দেওয়া হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে সবুজসাথী প্রকল্পের সযাইকেল দেওয়া হবে তা অর্থ দফতরের সঙ্গে কথা বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
তবে কর্মসংস্থানের প্রশ্নে সাইকেল কারখানা গড়ার উপর এদিন বাড়তি জোর দেন মমতা। গত বছরই মুখ্যমন্ত্রী একটিস অরকারিস অভা থেকে পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেছিলেন, দেশে যা সাইকেল তৈরি হয় তার একটা বড় অংশ কেনে পশ্চিমবঙ্গ। সবুজসাথী প্রকল্পের জন্যই এই সাইকেল বিক্রি বেড়েছে। বাইরে থেকে সাইকেল না কিনে রাজ্যে যাতে তা তৈরি করা যায় এবার তাতেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।