দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী কয়েকদিন সারা রাজ্যেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টি চলবে উত্তরেও। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শক্তিশালী দখিনা বাতাসের জেরে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। তার জেরেই বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই বাংলায়।
আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং কালিম্পং—এই চার জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তুলনামূলক ভাবে বেশি। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যেমন ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। তুলনায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় বৃষ্টি হবে কম।
শনিবার সকাল থেকেই আকাশ রয়েছে মেঘলা।এদিন দুপুর থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত সহ বনগাঁয় বৃষ্টি নামে৷ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অতিরিক্ত থাকায় গুমোট-ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। আজ শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি।
আইএমডি-র বুলেটিনে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে আরবসাগর এবং বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় হচ্ছে মৌসুমী বায়ু। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তার করবে এই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব আরবসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আইএমডি। এই নিম্নচাপ ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর এই নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তীব্র গতিতে শক্তিশালী হয়ে ভূ-খণ্ডে প্রবেশ করবে। আবহবিদদের অনুমান এ বছর নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ১ জুন কেরলে ঢুকবে বর্ষা।