বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস অবশেষে জামিন পেলেন। বুধবার বাংলাদেশের আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাঁচ মাসের বেশি সময় জেলে থাকার পর অবশেষে তিনি মুক্তি পেলেন।
দেশদ্রোহীতার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল ভারত। কলকাতা থেকে শুরু করে মুম্বই, পুণে- দেশের দিকে দিকে সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের জামিনের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম জেলে আটক ছিলেন। নিম্ন আদালত, পরে হাই কোর্টে আবেদন করেও জামিন পাচ্ছিলেন না এই সাধু। অবশেষে বুধবার উচ্চ আদালতের দুই বিচারপতি জামিন মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশের হিন্দু জাগরণ জোটের আহ্বায়ক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস দেশদ্রোহিতার মামলায় আটক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলে। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন চট্টগ্রামের এক বিএনপি নেতা ফিরোজ খান।
উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলা করায় বিএনপি ওই নেতাকে বহিষ্কার করলেও মামলা বহাল থাকে। সরকারপক্ষ বারে বারে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করায় অসন্তোষ দেখা দেয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে। একজন সাধুকে কেন জামিন না দিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে সে ব্যাপারে জবাবদিহি করতে বলেছিল। বুধবার হাই কোর্ট সরকারি রিপোর্টে প্রেক্ষিতে জামিন মঞ্জুর করে।