দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সময়ের সাথে সাথে কৌশল বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের সেই কৌশলের থেকেও দু’কদম এগিয়ে থাকবে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড তথা এনএসজি। তেমনই পরিকল্পনা নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। রাজারহাটে এনএসজির নতুন ভবনের উদ্বোধন করে এই কথাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন বিমানবন্দরে নেমে রাজারহাটে চলে যান শাহ। তারপর উদ্বোধনী বক্তৃতায় শাহ বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের টেকনিকের থেকে দু’কদম এগিয়ে থাকবে এনএসজি। বিশ্বের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এগিয়ে থাকতে চায় ভারত সরকার।” তাঁর কথায়, “২০০৮-এর মুম্বই হামলার পর এনএসজিকে ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়ে তাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এখন এনএসজি আন্তর্জাতিক স্তরেও খ্যাতি পাচ্ছে। এটা আমাদের ১৩০ কোটি দেশবাসীর গর্ব। কারণ গোটা দেশের ভরসা এই জওয়ানরাই। যাঁরা নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে চলেছেন।”
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকের বর্ষপূর্তি হয়েছে। এদিন শাহ বলেন, “এতদিন পর্যন্ত পৃথিবীতে দুটো দেশ নিজেদের জওয়ানদের মৃত্যুর বদলা নিত। শত্রুপক্ষের ঘরে ঢুকে মেরে আসত। আমেরিকা আর ইজরায়েল ছাড়া আর কোনও দেশ এই কাজ করতে পারত না। কিন্তু সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের পর আমাদের ভারতও সেই তালিকায় ঢুকে গিয়ছে। সারা পৃথিবী জেনে গিয়েছে, ভারত বদলা নিতে পারে।”
জওয়ানদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যবীমা, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার জন্য সরকারের যা করতে হয় সরকার তাই করবে বলে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমরা বিশ্বশান্তির পক্ষে। কিন্তু কোনও ভাবেই সীমান্তে সন্ত্রাসকে বরদাস্ত করা হবে না। আমাদের জওয়ানদের উপর আঘাত এলে প্রত্যাঘাত হবেই। কেউ ঠেকাতে পারবে না।”
এদিন অমিত শাহ শহরে আসার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কলকাতার একাধিক জায়গায় রাস্তা আটকে, কুশপুতুল পুড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে বাম-কংগ্রেস। এনএসজি ভবনে শাহের বক্তৃতা নিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “যিনি দিল্লিতে হিংসা ছড়ান, নিজের ঘরে শান্তি রাখতে পারেন না, তিনি আবার বিশ্বশান্তির কথা বলছেন। এটা লজ্জার।”
দুপুরে শহিদমিনারে বিজেপির সভায় ভাষণ দেবেন শাহ। সেখান থেকে তাঁর যাওয়ার কথা কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে। তারপর সন্ধেবেলা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। রাতেই উড়ে যাবেন দিল্লি।