সদ্যোজাত সন্তানকে হারিয়েছেন,বুকের দুধ পাম্প করে মিল্কব্যাঙ্কে দান করলেন তরুণী

0
640

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কঠিন রোগ নিয়ে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হতে চলেছে তাঁর পেটে বেড়ে ওঠা সন্তান। চিকিৎসা নেই, নেই বাঁচার সম্ভাবনাও। গর্ভাবস্থার ৬ মাসের মাথাতে এ কথা জেনেছিলেন মা। তিন ঘণ্টার বেশি সেই সদ্যোজাত সন্তানকে বাঁচাতেও পারেননি চিকিৎসকরা। কিন্তু নিজের সন্তানকে হারালেও, অন্য শিশুসন্তানদের জন্য কিছু করবেন বলে ঠিক করেছিলেন সন্তানহারা মা।

তাই নিজের বুকের দুধ সংরক্ষণ করে মিল্ক ব্যাঙ্কে জমা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ৬৩ দিন ধরে নিজের বুকের দুধ প্যাকেট বন্দি করে মিল্ক ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দেন আমেরিকার নীলসভিলের বাসিন্দা সিয়েরা স্ট্র্যাংফিল্ড।

সিয়েরা এই বিষয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন সম্প্রতি। অল্প সময়েই ভাইরাল হতে শুরু করে সেই পোস্ট। দেখুন সেই পোস্ট।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3270467702994781&id=100000947500773

সিয়েরার সন্তান জন্মেছিল ট্রাইসোমি ১৮ নামের এক বিরল রোগ সঙ্গে নিয়ে। জন্মানোর আগে থেকেই সিয়েরা ও লি স্ট্র্যাংফিল্ড জানতে পেরেছিলেন তাঁদের হবু সন্তান বিরল রোগে আক্রান্ত। কিন্তু তখন আর গর্ভপাত করার সময় ছিল না। তাই স্ট্র্যাংফিল্ড দম্পতির কোলে জন্ম নেয় সেই শিশু। চিকিৎসকরা বলে দিয়েছিলেন, এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। মৃত্যু অনিবার্য।

তবু আশায় বুক বেঁধেছিলেন স্ট্র্যাংফিল্ড দম্পতি। হাজার হোক, ন’মাস ধরে গর্ভে ধারণ করা সন্তান। তাই সব জেনেও অনাগত সন্তানের নামও ঠিক করে ফেলেছিলেন তাঁরা। ভেবেছিলেন, নিজেদের দ্বিতীয় সন্তানের নাম রাখবেন স্যামুয়েল। কিন্তু আদরের স্যামুয়েলকে আর পাওয়া হয়নি তাঁদের। তাই স্যামুয়েলের জন্য যে দুধ তৈরি হয়েছিল সিয়েরার বুকে, তা অন্য সন্তানদের জন্য দিয়ে দিতে চান সিয়েরা।

এই গোটা ঘটনাটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখে পোস্ট করেন সিয়েরা। জানান, যে সমস্ত শিশুরা নানা কারণে মায়ের বুকের দুধ পায় না, তারা যাতে দুধ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করবেন তিনি। নিজের বুকের দুধ দান করবেন তাদের জন্য।

সিয়েরার কথায়, “স্যামুয়েলকে হারাতে হবে আমি জানতাম। তাই তার আগেই আমি মনে মনে বলেছিলাম, আমার সন্তানকে বাঁচাতে না পারলেও, অন্য বাচ্চার জীবন বাঁচাব।”

Previous articleডোনাল্ড ‌রকি বালবোয়া! ট্রাম্পের নতুন ছবি দেখে অবাক নেটিজেনরা
Next articleমহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ উদ্ধব ঠাকরের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here