

দু’দিনের ভুটান সফরে গিয়ে দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । বললেন, কাল সন্ধেবেলা যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজে বের করা হবে। এর নেপথ্যে চক্রান্তকারী যারা রয়েছে তাদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে এসেছে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ -এর নাম। ১৩ জনের মৃত্যু ও অন্তত ২০ জনের আহত হওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে কাশ্মীরের চিকিৎসক উমর উন নবি, যিনি জইশ-সংঘের হরিয়ানার ফরিদাবাদ মডিউলের সদস্য বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

এদিন ভুটানের এক জনসভা থেকে মোদী বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। আমাদের এজেন্সি ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করবে। দিল্লির ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। পীড়িতদের কথা আমি বুঝতে পারছি। স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, সমস্ত দোষীদের কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানো হবে।”

https://x.com/ANI/status/1988133709900656768?t=3c-W3W4PRsdBr7aWHhkXFQ&s=19

সূত্রের খবর, রবিবার তাঁর সহযোগী দুই চিকিৎসক – মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল আহমেদ রাঠারকে গ্রেফতারের খবর জানার পরই ভয় পেয়ে উমর বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের আগে ওই মডিউলের আস্তানায় প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে এনআইএ ও রাজ্য পুলিশ । সোমবার সন্ধেয় লালকেল্লার পাশে নেটাজি সুভাষ মার্গে বিস্ফোরিত হয় একটি সাদা গাড়ি, তাতে উমরই ছিলেন চালকের আসনে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গাড়িটিতে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল ।
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি প্রথমে সালমান নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত ছিল, পরে একাধিক হাত বদলের পর তা উমরের কাছে পৌঁছায়। উমরই ছিলেন গাড়ির শেষ ব্যবহারকারী ও চালক। বিস্ফোরণের পর তাঁর দেহাংশ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

কে এই উমর? ১৯৮৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জন্ম উমরের। আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাস মডিউলের অন্যতম সদস্য তিনি।
এই ঘটনায় UAPA আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধির খুন ও হত্যাচেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে যুক্ত রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এনআইএ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।



