দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পাণ্ডাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।
দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার হয়েছে বলে খবর। রবিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বহিষ্কারের কথা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দিতে বলেছেন।
কণিষ্ক অনেক দিন ধরেই শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। গত কয়েকদিনে একাধিকবার শুভেন্দুর পাশে থাকার কথা জানিয়ে মুখ খুলে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মমতার বিরুদ্ধেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগ তুলেছিলেন এই নেতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কী বলেছিলেন কণিষ্ক?
তিনি বলেন, “দিদির সব কিছুই ঢপ। দিদির স্বাস্থ্যসাথী ঢপ। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন তাড়িয়ে দেবে। দিদির কাছে কোনও টাকা নেই। দিদির যা ঋণ আছে তা টাকা দিয়ে ঢেকে দিলেও শোধ হবে না। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন শুভেন্দুকেই দরকার।”
তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের ডাকে উত্তর কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠক নিয়ে আন্দোলিত হয়েছিল বাংলার রাজনীতি। তারপর দমদমের সাংসদ বলেছিলেন সব ঠিক আছে। শুভেন্দু দলেই আছেন। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন।
সেই প্রসঙ্গে কণিষ্ক বলেছিলেন, সৌগত রায় ভেবেছিলেন শুভেন্দু অভিমন্যু। চক্রব্যুহে ঢুকিয়ে দিলে আর বেরোতে পারবেন না। কিন্তু উনি জানেন না যে, শুভেন্দু অন্য ধাতুর।
কণিষ্কর কথাবার্তা নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। শেষমেশ তাঁকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।