দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আবারও বিতর্কে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চতুর্থ দফার পর বাংলায় পঞ্চম দফার ভোটেও চলল গুলি। আবারও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। শীতলকুচির পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, শূন্যে গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের একাংশের। তবে গুলিতে হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, কমিশনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেগঙ্গায় গুলি চালায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বিধানসভার চাকলা পঞ্চায়েতের কুরুলগাছা গ্রামে ২১৪ ও ২১৫ নং বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। ঘটনার ভিডিও ফুটজ চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। মিডিয়া মনিটরিং-এর মাধ্যমে জানতে পারার পরেই রিপোর্ট তলব।এদিন, দেগঙ্গায় ৮১ নম্বর বুথেও উত্তেজনা ছড়ায়।সোহাইস্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটারদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, বুথের থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে কয়েকজন বসেছিলেন। তাঁরা কোনও রকম অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেননি। তারপরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ৩-৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গালিগালাজ করার অভিযোগও ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকা থেকে চলে গেলে বুথের কাছাকাছি জড়ো হন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম দিগবেড়িয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রবীণদের রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।কাকলি ঘোষ দস্তিদার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই জায়গা শীতলকুচি নয়।মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোলেন সাংসদ। নির্বাচন কমিশন BJP-র হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন সাংসদ।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার চতুর্থ দফার ভোট শুরু হতেই শীতলকুচির পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এলোপাথারি গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। নির্বাচন কমিশন জানায় সিএপিএফ জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করে সোচ্চার হয়েছেন মোদী-শাহরা। অন্যদিকে, এই ঘটনা বিজেপি-র চক্রান্ত বলে পালটা সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এ নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি শীতলকুচির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিয়ো ক্লিপ সামনে এসেছে। যার সত্যতা যাচাই করেনি এই দেশেরসময়।