শনি-রবি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে,পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

0
1656

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে আকাশ ছিল আংশিক মেঘলা । মাঝে মাঝে ঝলক দেখা গিয়েছে চড়া রোদের। হাল্কা হাওয়াও বইছে কখনও। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অতিরিক্ত হওয়ায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে পৌঁছে গিয়েছে। ভ্যাপসা-গুমোট গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গে। বিশেষ করে দিনেরবেলায় টেকা দায়।

তবে আগামীকাল থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কারণ বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। কেবল দক্ষিণবঙ্গ নয়, এই নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশা উপকূল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম, উত্তর চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলির বিক্ষিপ্ত অংশে। দু-এক পশলা হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এছাড়া উত্তরবঙ্গের মালদা এবং কোচবিহার জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সন্ধ্যায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩ মিলিমিটার। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বৃষ্টি হলেও চরম আর্দ্রতার হাত থেকে এখনই নিস্তার নেই। আজ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

দেশের অনেক রাজ্য থেকেই বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করেছে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, রাজস্থান ও পঞ্জাবের অধিকাংশ অংশ থেকেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতের অধিকাংশ রাজ্য থেকেই বর্ষা বিদায় নেবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত উত্তরবঙ্গেও আর ভারী দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। 

অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী শনি ও রবিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে ভারী দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এছাড়া বৃহস্পতিবার এবং রবিবার ওড়িশা উপকূলেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।

আপাতত পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং অন্ধ্র উপকূলে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। অবস্থান বদল করে এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ সরে গিয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং ওড়িশা উপকূলে আসবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বৃদ্ধি করে শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকবে ভূখণ্ডে। যার জেরে ভারী বৃষ্টি হবে ওড়িশা উপকূলে। 

এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে উত্তরবঙ্গ এবং অসমের উপরেও। এর প্রভাবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়য়, মিজোরাপ, ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের প্রায় সব রাজ্যেই আগামী চার থেকে পাঁচদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Previous articleবাঙালি কন্যা সেনার সেবার শীর্ষে
Next articleমাটিতে পড়ে গেলেন ডেরেক , হাথরাসের আগেই আটকানো হল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here