দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ রেশনকার্ড সংশোধন নিয়ে রাজ্য জুড়ে হইহই পড়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ডেবরায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তিন ক্যাটেগরির জন্য হবে তিন রঙের রেশন কার্ড। একই সঙ্গে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যৌথ প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সংশোধনের কাজ।
রাজ্য জুড়ে অনেকেই মনে করছেন, এটা নাহলে বোধহয় এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণে নাম উঠবে না। এটা যে গুজব তা ইতিমধ্যে প্রচারও শুরু করেছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভিডিও বার্তায় অভয় দিচ্ছেন। এ দিন মমতা বলেন, “তাড়াহুড়ো করবেন না। প্রথম দফায় ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত রেশন কার্ড সংশোধনের কাজ চলবে। তারপর আবার ৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হবে এই কাজ।” তাঁর কথায়, “মানুষ এনআরসি আতঙ্কে ভুগছেন। এখনও পর্যন্ত ১১জন আত্মহত্যা করেছেন। কেউ ভয় পাবেন না। কাউকে বাংলা থেকে যেতে হবে না।”
ডেবরার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য দফতরের আমলাদের নির্দেশ দেন, তিন রঙের রেশন কার্ড প্রস্তুত করতে হবে। প্রথম ক্যাটাগরি- যাঁরা দুটাকা কিলো দরে চাল পান। দ্বিতীয় ক্যাটেগরি- যাঁরা অর্ধেক দামে চাল পান। এবং তৃতীয়- যাঁরা রেশন কার্ডকে পরিচয় পত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু রেশন নেন না। তাঁদের জন্য হবে আলাদা রঙের কার্ড।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কিছু রেশন ডিলার সব খেয়ে নিচ্ছে। এটাকে আটকাতেই আলাদা রঙ করতে হবে। যাতে হিসেব থাকে।” খাদ্য দফতরের সচিব মনোজ অগরওয়ালকে ধমকের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ঠিক করে কাজ করছেন না। সব ফেলে রেখে দিচ্ছেন। আর মানুষ হয়রান হচ্ছে।”
এ দিন একাধিক ক্ষেত্র নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তালিকা হাতে নিয়ে বলেন, “আমি এই তথ্য জনগণের থেকে ডাইরেক্ট কালেকশন করেছি। আপনারা এলাকায় যাচ্ছেন না। আর আপনাদের জন্য গালাগালি সরকারকে খেতে হচ্ছে।”