দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি, ওড়িশা সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল। সেই পথে হাঁটল বাংলাও। করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের বিভিন্ন অংশের ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা চিহ্নিত করে বিশেষ নজরদারির পর এ বার মাস্ক। করোনা-সংক্রমণ রুখতে মাস্ক বা মুখাবরণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার।
এই মর্মে রবিবার মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ একটি নির্দেশিকা জারি করেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মানুষজন বাইরে বেরলে যে কোনও ধরনের মুখাবরণ থাকা আবশ্যক। সেই মুখাবরণ মাস্ক হতে পারে, দোপাট্টা বা গামছা হতে পারে। এমনকি যে কোনও কাপড়ের টুকরো বা রুমালও, যা নাকমুখ ঢাকতে পারে, তা হতে পারে৷ মোদ্দা কথা, মুখ-নাক ঢেকেই রাস্তায় বেরোতে হবে।
রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সমস্ত রকমের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, মুখ-নাক ঢাকা থাকলে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকে। সেই কারণেই এ ব্যাপারে আরও গুরুত্ব আরোপ করল রাজ্য।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরামর্শ দিয়েছিলেন, বাইরে বেরোলেই যেন সবাই মাস্ক পরেন। এমনকি বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বক্তৃতায় মোদী এও বলেন, ঘরে থাকলেও মুখে একটা কাপড় জড়িয়ে রাখুন। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে।
তবে মাস্কের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ করেছে পড়শি রাজ্য ওড়িশা। সেখানকার সরকার নিয়ম করেছে, বাড়ি থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর সেটা না হলেই ২০০ টাকা জরিমানা। পর পর তিনবার একই ভুল করলে ২০০ টাকা করেই প্রতিবার জরিমানা দিতে হবে নিয়ম ভঙ্গকারীকে। কিন্তু চতুর্থবার একই ভুল করলে জরিমানার পরিমাণ হবে ৫০০ টাকা।