দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ গত ১৫ মে দুপুর ১২ টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলায় ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার জানিয়েছিল, ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে।
আজ বৃহস্পতিবার ২৭ মে। চলতি লকডাউনের মেয়াদ শেষ হতে বাকি রয়েছে আর মাএ ৩দিন। এই পরিস্থিতিতে একটাই প্রশ্ন প্রায় সবার মুখে মুখে ঘুরছে, তা হল ,লকডাউনের মেয়াদ কি বাড়বে। নাকি লকডাউন উঠে যাবে ৩১ মে।
১৫ মে, অর্থাৎ মুখ্য সচিব যেদিন লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন রাজ্যে নতুন সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ১৯,৫১১। মোটি কোভিড অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার। লকডাউনের উদ্দেশ্যই হল সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে গত ১০ দিনে নতুন সংক্রামিতের সংখ্যা কমেছে। ২৬ মে রাজ্যে নতুন সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ১৬,২২৫। বুধবার মোট কোভিড অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২৩ হাজার।তা ছাড়া উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে কলকাতায় কোভিডে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। দশ দিন আগেও কলকাতায় প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার পজিটিভ কেস পাওয়া যাচ্ছিল। সেই সংখ্যা কমে হয়েছে কমবেশি ২৩০০।
অন্যদিকে ,কলকাতার থেকে দিল্লিতে এখন দৈনিক নতুন কোভিড কেসের সংখ্যা কম। দিল্লিতে বুধবার ১৪৮০ টি নতুন কোভিড কেস পাওয়া গিয়েছে। এবং সেখানে এখনও লকডাউন অব্যাহত রয়েছে। একই ভাবে লকডাউন চলছে মুম্বইতেও। বুধবার মুম্বইতে নতুন কোভিড কেসের সংখ্যা ছিল ১৩৬২। অর্থাৎ কলকাতার তুলনায় ১ হাজার কম।
এদিকে পর্যালোচনা করে অনেকে আন্দাজ করছেন বাংলায় চলতি লকডাউনের মেয়াদ আরও এক বা দুই সপ্তাহের জন্য বাড়তে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে একবার বলেছিলেন, কথায় কথায় লকডাউন করলে চলবে না। মানুষের জীবিকার কথাও ভাবতে হবে। তবে শেষমেশ সংক্রমণ বল্গাহীন ভাবে বাড়তে থাকায় তাঁকেও লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়। সরকার অবশ্য চেষ্টা করেছে, কিছু মানুষকে কাজের সুযোগ দিয়ে রাখার। যেমন চট কল, মিষ্টির দোকান ইত্যাদি। কিন্তু এও ঠিক যে লকডাউনের ফলে অনেকের জীবিকাই ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষ করে যারা দিন আনেন দিন খায়। কেবল তাই নয়, ছোট ও মাঝারি শিল্প, বড় শিল্পোৎপাদনও লকডাউনের ফলে ধাক্কা খেয়েছে।
সার্বিক এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও একটা চ্যালেঞ্জ। রবিবার চলতি লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নবান্ন সূত্রের মতে, সেই মেয়াদ বাড়বে নাকি আপাতত এখানেই শেষ হয়ে যাবে তা সম্ভবত শনিবার হয়ত ঘোষণা করবে সরকার।