আর তাতপর্যপূর্ন হল খরগপুর যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিধায়ক ছিলেন কিছুদিন আগেও.তিনি সংসদে চলে যাওয়ায় যে আসন ফাঁকা হয়েছিল সেখানেও গো হারা হেরেছে বিজেপি।অথচ ভোটের আগে ও ভোটের দিন দিলীপ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমের কাছে বড় মুখ করে বলেছিলেন তিনি নাকি হাতের তালুর মত চেনেন খরগপুর বিধানসভাকে।তিনি রেল কোয়ার্টারে বসেই নাকি সুরক্ষা দিয়েছেন তাঁর কেন্দ্রকে।তাঁর আসনে দাঁত ফোটাবার সাহস হবে না শাসক দলের।ভোটের ফল বেরুতেই অবশ্য উন্টো সুর গাইতে শুরু করেছেন দিলীপবাবু।
এখন বলছেন উপনির্বাচন এমনিতেই শাসক দলের প্রাধান্য থাকে তা ছাড়া এনআরসি ভীতি কাজ করেছে তাই এই ফল।কিন্তু বিজেপির অন্দর মোহলে ইতিমধ্যেই দিলীপবাবুর নেতৃত্ব নিয়ে প্রস্ন উঠতে শুরু করে দিযেছে।সাংবাদ মোহলের কোন কোন অংশ থেকে যদিও ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে যে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ দুজনের নেতৃত্ব নিয়েই বিজেপির অন্দর মোহলে প্রশ্ন উঠছে আসল সত্যটা হল এ রাজ্যে এখনও সেভাবে নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়াই হয় নি মুকুল রায়কে।তিনি কার্যত পদহীন হয়েই থেকে গেছেন।
সেটা যে দিলীপ ঘোষদের কারসাজিতেই তাকে আড়াল করতেই সংবাদ মাধ্যমে এখন দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি মুকুল রায়ের নাম ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।এই উপনির্বাচনে কোন ভূমিকাই নিতে দেওয়া হয়নি মুকুল রায়কে,তাঁকে অনেকটা একঘরে করে রাখা হয়েছিল।তিনি কৌশল সাজাতে পারলে বা তাঁকে নিজের মত কাজ করতে দিলে অনেক হিসেব উন্টে যেতে পারত।কিন্তু তাতে দিলীপ ঘোষের মত মাথা মোটা ও ভাট বকা নেতাদের গুরুত্ব কমে যেতে পারে সেই আশঙ্কাতেই দিলীপবাবুরা বার বার মুকুল রায়ের পদ প্রাপ্তিতে আপত্তি তুলতে শুরু করেন।
লোকসভা ভোটের সাফল্য যে অনেকটা মুকুল রায়েরই অবদান সে কথা ভুলিয়ে দিতে গিলীপবাবুরা চেষ্টার কোন খামতি রাখেন নি।মুকুল রায় তাই এক সময় প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন।আমরা দেশের সময়তে সেই প্রতিবেদন প্রকাশও করেছিলাম।
দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে সেই দায় নিয়ে দিলীপবাবুর এখনই নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন রাজ্য বিজেপির অনেকেই।দিলীপবাবু যেভাবে দল চালাচ্ছেন সেটা অনেকটা জমিদারি মেজাজ বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাই। কেন লোকসভা ভোটের অতবড় সাফল্যের পরেও দলের সেরকম কোন কর্মসূচি নেওয়া হল না?
এ রাজ্যে শিক্ষকের দুরবস্থা,জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি,বিদ্যুতের মাসুল এ রাজ্যে অন্য রাজ্য গুলির তুলনায় দ্বিগুন হওয়া নিয়ে একটা আন্দোলনের কর্মসূচি নিতে পারল না বিজেপি?রাজ্য নেতাদের ্অনেেকেই মনে করছেন শুধু মন্দির বা ধর্ম নয় দরকার মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে রাস্তায় নামা,সেটা না করাতেই বিজেপি ক্রমশ এ রাজ্যে মানুষের আস্থা হারাচ্ছে।আর জন্য সবচেয়ে বড় দায় হল দিলীপবাবুর।সংঘ ঘনিষ্ট হওয়াতে তিনি যতটা ধর্ম ও ভগবান নিয়ে ব্যস্ত তার সিকিভাগও মানুষের রোজকার সমস্যা নিয়ে ভাবতে জানেন না।নিজে আলটপকা মন্তব্য করেন অথচ কর্মী সমর্থকরা মার খেলে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আটকে থাকেন।মার খাওয়া কর্মীর পাশে ছুটে যেতে পারেন না।
রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় কৌশল সেই কৌশলের বিন্দু-বিসর্গ বোঝেন না দিলীপবাবু।অনেকেই মনে করছেন বিজেপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে সিলীপবাবুকে অবিসম্বে সরিয়ে দেওয়া উচিত।এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে সেই মুহূর্তে সূত্রের খবর এ রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতা এই মর্মে দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদনও জানিয়ে এসেছেন।
সব মিলিয়ে বিজেপি শিবিরে যে অশান্তির ঢেউ উঠতে চলেছে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।