দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এবার দাদার অনুগামীরা পথে নামলেন। একেবারে প্রকাশ্যে এসে কাজ করতে শুরু করলেন তাঁরা। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর বাজারে কয়েকজন যুবক ‘দাদার অনুগামী’ বলে লেখা ও শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া টিশার্ট পরে মাস্ক ও হ্যান্ড সানিটাইজার বিলি করেন।
এদিন তাঁরা বলেন, দাদা অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই এই মাস্ক বিলি করা হচ্ছে। দাদার অনুগামী এই দলের অন্যতম এক সদস্য বলেন, “দাদা যা বলবেন বা করবেন আমরা সেই পথেই হাঁটব। দাদা বিজেপিতে গেলে আমরাও বিজেপিতে যাব।”
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি সিট পাওয়ার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাই গুটিয়ে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় পার্টি অফিসে ভাঙচুর, কর্মীদের হুমকি, মারধরও করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে, তখন কলকাতার কোনও নেতাকেও মাঠে-ময়দানে নামতে দেখা যায়নি।একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী মাঠে ছিলেন, ছিলেন কর্মীদের পাশে। তাই দাদার অনুগামীরা জানিয়ে দিচ্ছেন, দাদার সঙ্গ ছাড়বেন না তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত এক মাস ধরে বর্ধমান জেলার কাটোয়া, মেমারি, জামালপুর, আউশগ্রাম ও বর্ধমান শহরে ‘দাদার অনুগামী’ লেখা পোস্টার দেওয়া হচ্ছিল। ছবিও লাগানো হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু কেউ এতদিন নিজে প্রকাশ্যে আসেননি ‘দাদার অনুগামী’ হিসেবে।
শাসকদলের নেতারা একসময়ে বলছিলেন, এসব বিজেপির কাজ। তারা চক্রান্ত করে এসব করছে। কিন্তু আজ সবই স্পষ্ট। এই বিষয়ে বিজেপি জেলা যুবমোর্চা সভাপতি শুভম নিয়োগী সংবাদমাধ্যম কে বলেন, “এতদিন যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিজেপির উপর চাপাচ্ছিল! পোস্টার নাকি বিজেপি দিচ্ছে। এখন সব প্রমাণ হয়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরাই পোস্টার দিচ্ছেন। আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙন শুরু হয়ে গেছে।”
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অবশ্য এদিনও বলেন, এসব বিজেপির চক্রান্ত। তাঁরাই এজেন্সি দিয়ে এসব করাচ্ছে। এখানে কেউ দাদা নয়, সবাই দিদির অনুগামী বলে দাবি তাঁর।