তবে সব আয়োজনের একমাত্র আকর্ষণ ছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের ‘আধুনিক ডন’ সচিন তেন্ডুলকর। গতকাল সন্ধ্যায় সস্ত্রীক কলকাতায় এসেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। ভোর চারটে নাগাদ অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছে যান সচিন। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে চারটে।
সচিন মঞ্চে ওঠা মাত্রই প্রতিযোগীদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মত। সচিন, সচিন চিৎকারে গমগম করছিল যুবভারতী ও সাই সংলগ্ন রাস্তাগুলো। প্রায় ১৫ হাজার প্রতিযোগী এই ম্যারাথনে অংশ নেন। ৪২ কিমি, ২১ কিমি, ১০ কিমি ও ৫ কিমি এমন বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে ম্যারাথন দৌড় শুরু হয়। নিজে পা না মেলালেও প্রত্যেকটি ম্যারাথনের ফ্ল্যাগ অফ করেন স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকর। উপস্থিত ছিলেন বিধাননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
এ দিনের ম্যারাথনে বিশেষ অতিথি হিসাবে ২ কিমি দৌড়ে অংশ নেন ৫০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ। সচিনকে পুরো সময় ধরেই প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে দেখা যায়। প্রতিযোগীদের সঙ্গে দেদার সেলফিও তোলেন মাস্টার।
পুরুষদের ৪২ কিমি বিভাগের ফুল ম্যারাথনে প্রথম হয়েছেন ল্যান্ডিং ওহল্যাং(২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট ৪২ সেকেণ্ড)। মহিলাদের ২১ কিমি বিভাগের ফুল ম্যারাথনে প্রথম হয়েছেন অঞ্জলি সারাওগি(৩ ঘন্টা ১৬ মিনিট ৫৪ সেকেণ্ড)। পুরুষদের ১০ কিমি হাফ ম্যারাথনে প্রথম স্থান পেয়েছেন মুকেশ সিংহ ভান্ডারি(১ ঘন্টা ৮ মিনিট ৫০ সেকেন্ড)। মহিলাদের ৫ কিমি হাফ ম্যারাথনে প্রথম হয়েছেন জ্যোতি সিংহ(১ ঘন্টা ২৩ মিনিট ৩১ সেকেণ্ড)।
এ দিনের ম্যারাথনে অংশ নিতে দেখা গেল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুনাম পাওয়া ৮৬ বছরের ‘তরুণ’ বিলাহালী জনার্দনকে। আবার পাওয়া গেল দৃষ্টিহীন প্রতিযোগী মহম্মদ আসিফ ইকবালকে। দুরারোগ্য হৃদরোগে আক্রান্ত শুভাশিস ঘোষ অংশ নিলেন ম্যারাথনের দৌড়ে। মোট ৬ লক্ষ টাকা পুরস্কার তুলে দেওয়া হল বিজয়ীদের।
শরীরচর্চা ও ক্যান্সারমুক্ত দেশের বার্তা প্রচারের পাশাপাশি সচিন সপ্রতিভ উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে যে এক আলাদা মাত্রা দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ছবিগুলি তুলেছেন শান্তনু বিশ্বাস ৷