দেশের সময়, বনগাঁ: ৩৫ নং জাতীয় সড়ক যশোর রোডের দু’ধারের প্রাচীন শিরিস গাছের বুকে পেরেক ঠুকে টাঙানো রয়েছে প্রচারমূলক ব্যানার, পোস্টার ও সাইনবোর্ড। গাছের উপর এই নির্মমতার কারণে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে শত শত গাছ। বিপর্যস্ত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। এমন নির্মমতা থেকে গাছকে বাঁচাতে এবার ছুটে এলেন বনগাঁ পুরসভার পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ।
গোপাল বাবু জানান, বনগাঁ শহরের গোটা এলাকা ঘুরলে দেখা যায়, ৩৫নং জাতীয় সড়কের দু`পাশে শতবর্ষী গাছের এখন বেহালদশা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গাছগুলো এখন প্রচারমূলক কাজের ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। একেকটি গাছের বুকে পেরেক ঠুকে টাঙানো হয়েছে একাধিক বিজ্ঞাপনী প্রচার। বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর আবিষ্কার মানবজীবনের মতো উদ্ভিদেরও যে জীবন আছে, আছে অনুভূতি শক্তি, সেই প্রমাণের ভিত্তিতে গাছের উপর এমন নির্মমতা থেকে গাছকে বাঁচাতে এবং দেখুন ভিডিও
বনগাঁ শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সবুজায়নের লক্ষ্যে বনগাঁ পৌরসভার উদ্যোগে শুক্রবার শহরের সমস্ত গাছে পুঁতে রাখা প্রেক ,ফ্লেক্স খোলার কাজ শুরু করা হলো৷
এর ফলে শহরের সৌন্দর্য যেমন ফিরবে, অন্যদিকে পেরেক বিদ্ধ গাছের জীবনীশক্তি নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানো যাবে বহু গাছ।
এদিন গাছের পেরেক তোলার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সচেতন করলেন পৌর কর্মীরা যাতে গাছে অযথা আর কোন পেরেক বা” কোন ধরনের পোস্টার ,ফ্লেকস না লাগান।
বনগাঁ পৌরসভার প্রশাসক গোপাল শেঠের কথায় শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সবুজায়নের লক্ষ্যে আমাদের এই পদক্ষেপ ধারাবাহিক ভাবে চলবে। এবং আগামীতে যশোর রোডের দুপাশ দিয়ে চার ফুটের ফুটপাত বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
পৌরসভার এই উদ্যোগ সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা।